সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল নামতে চলেছে ইউরোর সেমিফাইনালে। পাশাপাশি জোড়া গোল করে দলের সর্বোচ্চ স্কোরারের তালিকায় যুগ্মভাবে প্রথমে তিনি, জুড বেলিংহ্যামের সঙ্গে। ফলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনের এখন বেশ ফুরফুরে থাকার কথা। কিন্তু পরিস্থিতি একেবারেই উল্টো। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নামার আগে বেজায় চাপে কেন। কারণ সমর্থক থেকে সমালোচক– কেউই তাঁর পারফরম্যান্সে খুশি নন। এমনকি স্বয়ং অধিনায়ককে দল থেকে ছেঁটে ফেলার দাবিও জোরালো হচ্ছে।
অবশ্য একটা তথ্য নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দেবে কেনকে। তা হল দলের সমর্থন। ইউরোয় এখনও সমর্থক-সমালোচকদের মন ভরাতে পারেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তবে তাঁর উপরেই ভরসা রাখার কথা শুনিয়েছেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, লুক শ-র মতো তারকারা। “আমাদের প্রতিপক্ষও হ্যারিকে দলের বাইরে দেখতেই পছন্দ করে। কারণ যে কোনও প্রতিপক্ষের মাথাব্যথা বাড়ানোর ক্ষমতা ওর আছে। বক্সের মধ্যে হ্যারির উপস্থিতি সবসময়ই প্রতিপক্ষের জন্য বিপদ সংকেত,” বলছিলেন ট্রেন্ট, “হ্যারি যে কোনও জায়গা থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। ও আমার দেখা শ্রেষ্ঠতম ফিনিশার। আবার নিচে এসে খেলা তৈরির কাজটাও ভালোভাবে করতে পারে। বল ধরে খেলার ক্ষেত্রেও হ্যারি অসাধারণ।” ফলে ডর্টমুন্ডে ডাচদের বিরুদ্ধে কেনের প্রথম একাদশে খেলা নিয়ে কোনও সন্দেহই যে নেই, স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রেন্ট।
[আরও পড়ুন: গোলে ফিরলেন মেসি, নীল-সাদা ঝড়ে উড়ে গেল কানাডা, কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা]
শুধু ট্রেন্টই নন, অধিনায়কের পাশা দাঁড়িয়েছেন দলের আর এক সাইডব্যাক লুক শ। তাঁর কথায়, “মাঠে হ্যারির উপস্থিতি দলের অন্যদের উদ্বুদ্ধ করে। ইতিবাচক ভাবনা তৈরি হয় দলের মঝ্যে। আমরা সকলেই সেটা অনুভব করি। কারণ ও আমাদের দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। ম্যাচের যে কোনও মুহূর্তে গোল করে তফাত গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে হ্যারির। শুধু অধিনায়কই নয়, ও আমাদের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পাশাপাশি ও একজন বিশ্বমানের ফুটবলার। ওর ক্ষমতা কী, সেটা আমরা প্রতিদিন অনুশীলনে দেখতে পাই। হ্যারি কেমন প্লেয়ার এবং আমাদের দলে ওর ভূমিকা কী, সেটা নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই।”
অবশ্য শুধু দুই সতীর্থ নয়, দেশের দুই প্রাক্তন ফুটবলারের পরোক্ষ সমর্থনও রয়েছে কেনের সঙ্গে।সেমিফাইনালের জন্য নিজেদের পছন্দসই একাদশ বেছে নিয়েছেন গ্যারি লিনেকার এবং অ্যালান শিয়ারার। দু’জনেই নিজেদের দলে জায়গা দিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ককে। এরমধ্যে লিনেকারের সঙ্গে আগেও কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন কেন। ফলে ডাচ-যুদ্ধের আগে প্রাক্তনদের পছন্দের দলে থাকাটা স্বস্তি দেবে তাঁকে।