ভারত: ৪১৬-১০ (পন্থ- ১৪৬, জাদেজা- ১০৪) ও ২৪৫/১০ (পন্থ-৫৭, পূজারা-৬৬)
ইংল্যান্ড: ২৮৪/১০ (বেয়ারস্টো- ১০৬, বিলিংস-৩৬, সিরাজ- ৪-৬৬) ও ২৫৯/৩ (রুট-৭৬*, বেয়ারস্টো-৭২*, বুমরাহ- ২-৫৪)
ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১১৯ রান
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনো বলে একবার হাত সেট হয়ে গেলে যে ঘরের মাঠে খেলাটা কতখানি আরামদায়ক হয়ে ওঠে, জো রুট এবং জনি বেয়ারস্টোর পার্টনারশিপ যেন সে ছবিই তুলে ধরল। জোড়া উইকেট তুলে নিয়েও নেতৃত্বের গলদে চতুর্থ দিনের শেষে ব্যাকফুটে ক্যাপ্টেন বুমরাহ। শেষ দিনে এই পারফরম্যান্স ধরে রাখলে ইংল্যান্ডের এজবাস্টন টেস্ট জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।
ইংল্যান্ডকে ৩৭৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত (Team India)। প্রথম ইনিংসে এই ইংলিশ বাহিনীকেই গুটিয়ে দেওয়া গিয়েছিল ২৮৪ রানে। সৌজন্যে বুমরাহ-সিরাজ-শামির পেস ঝড়। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকেই নিজেদের চালকের আসনে বসিয়ে রাখলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। শুরুটা দুর্দান্ত করেন অ্যালেক্স লিস (৫৬) এবং জ্যাক ক্রলি (৪৬)। তাঁরা ফিরলে ক্রিজে জাঁকিয়ে বসেন দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রুট এবং দুরন্ত ছন্দে থাকা বেয়ারস্টো। তাঁদের চওড়া ব্যাটের দৌলতেই হাসতে হাসতে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড।
[আরও পড়ুন: ‘সিনিয়ররা জোর করে ম্যাসাজ করাত, কাপড় কাচাত!’, স্পোর্টস হস্টেল নিয়ে বিস্ফোরক দ্যুতি]
এদিন ক্রলিকে প্যাভিলিয়নে ফেরাতেই অনন্য রেকর্ডের মালিক হয়ে যান বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ১০০টি উইকেট পেয়ে গেলেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট (৩৭) এল ইংল্যান্ডের মাটিতে। এই রেকর্ডের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন অনিল কুম্বলে (১৪১)। তবে ব্যক্তিগত রেকর্ড তখনই মধুর হয়ে উঠবে, যদি প্রথমবার নেতৃত্ব দিয়ে টেস্টে দলকে জেতাতে পারেন তিনি। কিন্তু রুট-বেয়ারস্টোর অপরাজিত ১৫০ রানের পার্টনারশিপ সে সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে দিল।
বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ব্যর্থ হলেও প্রথম ইনিংসে পন্থ-জাদেজাদের লড়াই ভারতকে এগিয়ে দিয়েছিল অনেকখানি। ম্যাচের তৃতীয় দিন পর্যন্তও পাল্লা ভারী ছিল ভারতের। কিন্তু এদিন ছবিটা একেবারেই ঘুরে গেল। বেয়ারস্টোদের চাপে ফেলতে বোলার রোটেট করতে পারতেন বুমরাহ। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে ইংলিশ ব্যাটারদের কাজ আরও যেন সহজ করে দিলেন তিনি। প্রায় সব ফিল্ডারকে ৩০ গজ বৃত্তের কাছে বা বাউন্ডারি লাইনের কাছে রাখেন। আর তাতেই খুচরো রান নিয়ে টার্গেটের দিকে এগিয়ে যেতে সুবিধা হল রুটদের। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও ব্যাটারের উপর চাপ তৈরি করতে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংই সাজিয়ে থাকেন অধিনায়করা। তাই এক্ষেত্রে বুমরাহ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন না বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
শুধু তাই নয়, ম্যাচে একাধিক ক্যাচ মিসও ভারতের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল। তাই মঙ্গলবার কোনও মিরাকল না ঘটাতে না পারলে ২-১-এ এগিয়ে থাকা টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ভারতের না দেখাই শ্রেয়।