সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মাঝেই নাচের মিমকে ঘিরে 'ছায়াযুদ্ধ' শুরু হল বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। এই যুদ্ধের একদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তো অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাচের মিমকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) পদক্ষেপের পর একই ধাঁচের নিজের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় তা শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও মোদির এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে একটি মিম যেখানে দেখা যাচ্ছে বিপুল ভিড়ে ঠাসা দর্শকদের সামনে মঞ্চে নাচতে নাচতে আসছেন কোনও একজন। সেখানেই বিভিন্ন সেলিব্রেটির মুখ বসিয়ে পোশাক বদলে দেওয়া হচ্ছে। এই তালিকায় ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বাদ যাচ্ছে না কেউই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। এই ঘটনায় কমিশনের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ নেয় কলকাতা পুলিশ। নোটিস পাঠানো হয় অভিযুক্তকে।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্ষকের সন্তানের জন্ম দিতে বাধ্য করা যাবে না নির্যাতিতাকে’, নির্দেশ হাই কোর্টের]
বাংলায় যখন এমন ভিডিওকে ঘিরে পদক্ষেপ চলছে তখনই ভাইরাল হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমনই এক ভিডিও। এক যুবক সেই ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, 'আমি এই ভিডিও পোস্ট করছি কারণ আমি জানি 'একনায়ক' এই ভিডিওর জন্য আমায় গ্রেপ্তার করাবেন না।' পোস্টদাতার ওই বার্তার নাম না করে কটাক্ষ ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে 'একনায়ক' বলে আক্রমণ শানান প্রায়শই। সেই ভিডিও পোস্ট হওয়ার পর তা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, 'নিজেকে নাচতে দেখে আপনাদের মতো আমিও সেই নাচ উপভোগ করেছি। নির্বাচনের মরশুমে এমন 'শিল্প' সত্যিই মনকে আনন্দ দেয়।' এদিকে কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপ, তো অন্যদিকে মোদির এমন আচরণ দেখে রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসলে এই ভিডিও পোস্ট করে কৌশলের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কারণ, মমতা ও মোদি দু'জনের ভিডিও একই শুধু মুখ আলাদা।
[আরও পড়ুন: পরিচারকের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩২ কোটি, অবশেষে গ্রেপ্তার ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রীর সচিব]
এদিকে প্রধানমন্ত্রী এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর পালটা প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে এই ধরনের ভুয়ো ভিডিও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এখন সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে 'সাহেব' ধরনের কাজকে নির্লজ্জভাবে শুধু উৎসাহ দিচ্ছেন না, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অবজ্ঞা করছেন।'