নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)। দিল্লি পুরনিগমের নির্বাচনেও আপের কাছে হার মানতে হয়েছে। সব মিলিয়ে কর্মসমিতির বৈঠকের আগে প্রবল চাপের মধ্যে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার দিল্লিতে কর্মসমিতির বৈঠকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। সাফ জানালেন, ২০২৩ সালে ন’টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। একটাও রাজ্যে হারা চলবে না বিজেপির। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবেই এই বিধানসভাগুলিকে দেখছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাই সমস্ত রাজ্যেই জয় পেতে মরিয়া নাড্ডা।
সোমবার দিল্লিতে মহা রোড শো করে এসে কর্মসমিতির বৈঠকের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরেই নাড্ডার বক্তৃতা। কর্মীদের উদ্দেশে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি সাফ জানিয়ে দেন, ২০২৩ সালের একটি বিধানসভাতেও যেন না হারে বিজেপি। চলতি বছরেই কাশ্মীরে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানেও জয় পেতে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে বিজেপি। নাড্ডা বলেছেন, যেসমস্ত রাজ্যে দলের সংগঠনের বেহাল দশা, সেখানে পুরোদমে কাজে লেগে পড়তে হবে দলীয় কর্মীদের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের সব প্রান্তেই সংগঠনের জোর বাড়ানোর ডাক দিয়েছেন নাড্ডা।
[আরও পড়ুন: যাত্রা শুরুর তৃতীয় দিনেই বিভ্রাট, মাঝগঙ্গায় আটকে গেল গঙ্গাবিলাস, যাত্রীরা উঠলেন নৌকায়!]
২০২২ সালে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বিজেপি। সেই জয়ের জন্য রাজ্যের কর্মীদেরই ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাড্ডা। সেই সঙ্গেই হিমাচলের হারের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। কর্মীদের উদ্দেশে নাড্ডার বার্তা, হিমাচলের ধারা পালটাতে পারেনি বিজেপি। তবে এবার না হলেও আগামী দিনে এই রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী নাড্ডা। তবে আপাতত জম্মু-সহ ১০টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বিজেপি। কারণ এই নির্বাচনের ফলাফলের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে।
কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হওয়ার আগে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, লাগাতার ব্যর্থতার জেরে নাড্ডার উপর বেশ অসন্তুষ্ট বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে নাড্ডার উপরেই আস্থা রাখল বিজেপি। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নাড্ডার নেতৃত্বেই লড়বে বিজেপি। চলতি মাসেই সভাপতি হিসাবে নাড্ডার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আপাতত তাঁর মেয়াদ বাড়ল।