সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু গ্ল্যামারদুনিয়ারল লাইমলাইটে থাকতে পছন্দ করেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তৃণমূলের প্রচারে বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে, মাঠেঘাটে ছুটে বেড়ালেও নায়িকাসুলভ আচরণ তাঁর এখনও রয়ে গিয়েছে। শরীরচর্চা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা ছবি দিয়েছিলেন মাত্র। আর তাতেই একেবারে রে-রে করে উঠল নেটপাড়ার নীতিপুলিশদের একাংশ। ভয়ংকরভাবে বডি শেমিংও করা হল অভিনেত্রীকে।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসক দলের টিকিটে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়লেও জিততে পারেননি। তারপর থেকেই বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচীতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও জোরদার প্রচার চালিয়েছেন। বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির এই নায়িকা যে ক্রমশ ‘জনপ্রতিনিধি’ হয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এবার স্বল্পবসনা অবতারে ধরা দিয়ে নেটপাড়ায় কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হল সায়ন্তিকাকে। এমনকী নায়িকার রাজনৈতিক সত্ত্বা তুলেও কটুক্তি করতে ছাড়লেন না নিন্দুকরা।
কেউ ওজন নিয়ে খোঁটা দিলেন তো কেউ বলছেন, ‘এটা জনপ্রতিনিধির পরিচয়!’ আবার ঘাসফুল শিবিরকে বিঁধে সায়ন্তিকাকে কারও কটাক্ষ, ‘তৃণমূলে ঢোকার পর ঘুষের টাকা খেয়ে পেট ফুলে গেছে…।’ কেউ বা আবার পোশাক নিয়েও ব্যঙ্গ করলেন নায়িকাকে। এই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগেও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তখন অবশ্য সপাটে কষিয়ে জবাব দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার বডি শেমিং কটাক্ষ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’! সরকারি গাড়ি নিয়ে যশের সঙ্গে শুটিংয়ে নুসরত, চরম বিতর্কে সাংসদ-নায়িকা]
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের উত্যক্ত করা খানিক যেন জলভাতের মতোই বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়শই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় মেয়েদের। স্কার্টের ঝুল, ব্লাউজের গভীরতা মাপা থেকে শুরু করে শাড়ির আঁচল সরে গিয়ে কেন নাভির অংশ বেরলো?… বক্ষ বিভাজিকা উঁকি দিল? নেটপাড়ার নীতিপুলিশদের আতসকাচ যেন তৈরিই থাকে! আর তার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় কমেন্টবক্সে। একের পর এক অশালীন, কদর্য মন্তব্য, এমনকী বডি শেমিংয়ের হাত থেকেও রেহাই পান না জনপ্রিয় নায়িকারাও। এবার রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয়ংকর কটাক্ষের শিকার হতে হল।