সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজি জন্মজয়ন্তী, সাধারণতন্ত্র দিবস – দেশপ্রেম উদযাপনের এই আবহে এক শর্টফিল্ম নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে মহিমান্বিত করে তৈরি শর্টফিল্ম – হোয়াই আই কিলড গান্ধী (Why I Killed Gandhi) জাতির আবেগে ধাক্কা দেওয়ার মতো। তাই তা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হোক। এই দাবিতে সরব ভারতীয় সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (All India Cine Workers Association) চিঠি পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সিনে অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ৩০ জানুয়ারি অর্থাৎ গান্ধীজির মৃত্যুদিনে ছবিটি OTT প্ল্যাটফর্মে আসার আগেই তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।
২০১৭ সালে তৈরি হয়েছিল শর্টফিল্ম (Short Film) – হোয়াই আই কিলড গান্ধী। গডসের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এনসিপি (NCP) সাংসদ তথা অভিনেতা অমল কোলহে। সেসময় তিনি দলে এবং দলের বাইরে যথেষ্ট সমালোচিত হন। তবে পিছিয়ে যাননি। গডসের (Nathuram Godse) ভূমিকায় অভিনয়ের কাজ শেষ করেন। ছবিটি সেসময় মুক্তি পায়নি। এ বছর গান্ধীর মৃত্যুদিনে তা OTT-তে আসার কথা। কিন্তু ছবির বিষয়বস্তু জাতীয় আবেগকে ধাক্কা দেবে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে সিনে অ্যাসোসিয়েশন একটি চিঠি পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে।
[আরও পড়ুন: বেজে উঠল ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’, ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি উদ্বোধন মোদির]
চিঠির বিষয়বস্তু খুব স্পষ্ট। তাতে লেখা – মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)জাতির পিতা। তিনি ভালবাসা, ত্যাগের প্রতিভূ। তাঁর হত্যাকারী দেশবাসীর চোখে বিশ্বাসঘাতক ছাড়া কিছুই নয়। একবিন্দু ইতিবাচকতার যোগ্য নয় সে। সেই বিশ্বাসঘাতকের দিক থেকে ছবি তৈরি হলে, তা আমজনতার আবেগে ধাক্কা খাবে। বিশেষত ৩০ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে এক শোকের দিন। নাথুরাম গডসের প্রতি ঘৃণা বর্ষণের দিন। এমন দিনে ওই শর্টফিল্মটি প্রকাশ্যে এলে তাতে দেশবাসীর মনে আরও বেশি করে ক্ষোভ সঞ্চারিত হবে। তাই ছবিটি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হোক। এটা গোটা জাতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের আবেদন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন।
[আরও পড়ুন: শোকজের চিঠি পেয়েই ঠাকুরবাড়িতে জয়প্রকাশ, গোপন বৈঠকে পাশে থাকার আশ্বাস শান্তনু ঠাকুরের]
প্রসঙ্গত, এ ধরনের ছবি খুব স্বাভাবিকভাবেই একাধিক বিতর্কের জন্ম দেবে। ঠিক যেমন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির কাছে নাথুরাম গডসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে সিনে অ্যাসোসিয়েশনের এই আবেদনে কেন্দ্র তথা মোদি কতটা সাড়া দেন, সেটাই দেখার।