সুপর্ণা মজুমদার: গয়নার প্রতি আলাদা মোহ মহিলাদের থাকেই। কিন্তু তা বলে একজোড়া কানের দুল কিনতে কেউ ভেনিস যেতে পারেন? অপরাজিত আঢ্য (Aparajita Adhya ) অন্তত পারেন। নিজের মুখেই সেকথা জানিয়েছেন সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে।
২০ মে মুক্তি পাচ্ছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় জুটি পরিচালিত ‘বেলাশুরু’ (Belashuru)। ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত চরিত্র বিশ্বনাথ ও আরতির বড়মেয়ে বুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অপরাজিতা। সেই ছবি প্রসঙ্গে কথা বলেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। কথায় কথায় তাঁর কানের দুলজোড়ার প্রসঙ্গ ওঠে। জানা যায় শুধুমাত্র এই দুলজোড়া কিনতেই ভেনিস গিয়েছিলেন অপরাজিতা আঢ্য।
[আরও পড়ুন: ‘সম্পর্কে দমবন্ধ হয়ে আসছে, বেরতে চাই’, সহকর্মীদের কাছে আক্ষেপ করতেন অভিনেত্রী পল্লবী]
ব্যাপারটা কী? প্রশ্ন করতেই অভিনেত্রী জানান, প্রথমবার যখন ভেনিস গিয়েছিলেন হোটেলের সামনে একটি কানের দুলের দোকান ছিল। হলুদ এক জোড়া কানের দুল খুবই পছন্দ হয়েছিল অভিনেত্রীর। ভেবেছিলেন পরে সময়মতো কিনে নেবেন। কিন্তু যতদিন অপরাজিতা ভেনিসে ছিলেন দোকানটি আর খোলেনি। অগত্যা সেবার নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু অপরাজিতা আঢ্য হাল ছাড়েননি। পরবর্তীকালে যখন প্যারিস যাচ্ছিলেন। আগে ভেনিসে (Venice) পৌঁছে যান তিনি। ইটালির বিখ্যাত মুরানোর তৈরি সেই হলুদ দুল জোড়া না পেলেও একইরকম লাল রঙের দুল কিনে ফেলেন। আর তা পরেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সম্পর্কের গল্প বলবে ‘বেলাশুরু’। ছবির দুই মুখ্য চরিত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত প্রয়াত হয়েছেন। অবশ্য অপরাজিতা মনে করেন শিল্পীর মৃত্যু হয় না। তাঁরা শিল্পের মাধ্যমেই বেঁচে থাকেন। বাঙালির বাংলা সিনেমা দেখা উচিত বলেও মনে করেন অপরাজিতা। অভিনেত্রীর মতে, বাঙালিরা অনেক সময়ই বাঙালিয়ানাকে পিছিয়ে রাখেন। শিকড়কে ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলেই মত অভিনেত্রীর।