সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র (Shaoli Mitra Death)। শিল্পীকে দাহ করার পরই রবিবার তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। এক্ষেত্রে বাবা তথা প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রকে অনুসরণ করেছেন তিনি। শম্ভুবাবুর শেষ ইচ্ছাপত্র অনুযায়ী তাকে দাহ করার পর মৃত জানা যায়। তেমনটাই হয়েছে শাঁওলি মিত্রর ক্ষেত্রে। শিল্পীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধের পরিণাম নিয়ে তৈরি ‘উত্তরণ’, ট্রেলারে নজর কাড়লেন মধুমিতা-রাজদীপ]
ছোটবেলা থেকেই নাট্যচর্চার মধ্যে ছিলেন শাঁওলি মিত্র। বাবা শম্ভু মিত্র এবং মা তৃপ্তি মিত্রকে কাছ থেকে দেখেছেন। ছোটবেলায় অভিনয় করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি ‘ডাকঘর’ নাটকে। সেখানে অমলের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছিলেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও নাট্য জগতের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পড়েন। নিজের দলও গড়েন।
‘বিতত বিতংস’, ‘নাথবতী অনাথবৎ’, ‘পুতুলখেলা’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’, ‘লঙ্কাদহন’, ‘গ্যালিলিও’র জীবন’- একাধিক নাটকের মাধ্যমে দর্শকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন শাঁওলি মিত্র। তাঁর একক অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে যেতেন দর্শকরা। সেই স্মৃতিগুলিই যেন এখন বেশি করে মনে পড়ছে শাঁওলি মিত্রর অনুরাগীদের। পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ ছবিতে ‘বঙ্গবালা’র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
২০০৩ সালে বাংলা থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পান শাঁওলি মিত্র। ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে। ২০১২ সালে অভিনয়ে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য পান বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার। ২০২০ সালেই ইচ্ছাপত্র তৈরি করেছিলেন শাঁওলি মিত্র। যাতে নিজের মানস কন্যা অর্পিতা ঘোষ এবং পুত্রতুল্য সায়ক চক্রবর্তীর নাম উল্লেখ করে জানান, তাঁরাই গত তিন বছর ধরে শিল্পীর সমস্ত দায়িত্ব বহন করেছেন। তাতে শিল্পী অনুরোধ করেন তাঁকে যেন হাসপাতালে ভরতি করা না হয়। কারণ তিনি ‘আসুরিক চিকিৎসার’ পক্ষপাতী নন। ডাক্তাররা যেটুকু সাহায্য করেছেন তাতেই খুশি বলে জানান শিল্পী। শিল্পী জানান, তাঁর মৃত্যুর পর সকলের অগোচরেই যেন দ্রুত দাহকাজ সম্পন্ন করা হয়। সেই ইচ্ছের মান রেখেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।