সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কবি লিখেছিলেন ‘কালো, তা সে যতই কালো হোক / দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ’। শ্যামবর্ণের মধ্যেও যে সৌন্দর্য আছে, তা বলে গিয়েছিলেন বিশ্বকবি। শ্যামাঙ্গী কন্যার রূপ যে কোনও পুরুষ হৃদয়কে কাঁপে না, তা নয়। কিন্তু সব কালো মেয়ের ভাগ্য অত সুপ্রন্ন নয়। হরিণনয়না না হলে বা মুখ লক্ষ্মী প্রতিমার মতো না হলে তার বিচার হয় গায়ের রং দিয়ে। আর সেখানেই ডাহা ফেল করে যায় শ্যামবর্ণা তন্বীরা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা পেয়ে এক শ্যামাঙ্গীর গলাতেও ঝরে পড়ল সেই হতাশার গল্প।
২০১৯ সালে মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী জোজিবিনি টুনজি। গায়ের রং তাঁর আফ্রিকানদের মতোই কালো। ফলে ছোট থেকেই কানে আসত কদর্য নিন্দা। সবাই তাঁকে ‘কালো’ বলে নাক সিঁটকাতো। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও পরে এই সব ছুটকো মন্তব্যে কান দিতেন না টুনজি। যখন তাঁকে ‘কুৎসিত’ বলে খোঁচা দেওয়া হত, তাঁর জেদ আরও চেপে বসত। হয়তো তখন থেকেই উপযুক্ত জবাব দেওয়ার তাগিদ শুরু। সিঁড়ি বেয়ে তিনি সেই যে উঠতে শুরু করেছিলেন, আজ তার শীর্ষে পৌঁছলেন। কালো হওয়া সত্ত্বেও ছিনিয়ে নিলেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হওয়ার খেতাব।
[ আরও পড়ুন: মেয়েকে কী শেখাবেন? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েই মিস ইউনিভার্স দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী ]
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর নিজের জীবনের এই কথা একাধিকবার বলেছেন জোজিবিনি টুনজি। জানিয়েছেন, তিনি এমন এক জায়গায় বেড়ে উঠেছেন সেখানে গাত্রবর্ণ ও চুলের কারণে বারবার অপদস্থ হয়েছেন তিনি। অপমানিত হয়েছেন পদে পদে। কিন্তু এবার নিন্দুকদের উপযুক্ত জবাব তিনি দিতে পেরেছেন বলে মনে করেন টুনজি। যাঁরা তাঁর মতো চেহারা নিয়ে হতাশায় ভোগেন, তাঁদের জন্য টুনজির বার্তা, কেমন দেখতে, তা নিয়ে হতাশার কোনও কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘আমি চাই বাচ্চারা আমাকে দেখুক।’ আবিষ্কৃত হোক সৌন্দর্যের নতুন সংজ্ঞা।
[ আরও পড়ুন: নাটকের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান, ঢাকার নাট্যমেলায় ভারতের ৪ দল ]
The post গায়ের রং নিয়ে হাজার সমালোচনা-হাসাহাসি, ‘কুৎসিত’ তন্বীই আজ মিস ইউনিভার্স appeared first on Sangbad Pratidin.