shono
Advertisement

Yeh Kaali Kaali Ankhein: রোমাঞ্চ আর টুইস্টে ভরা ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’দেখার ইচ্ছা আছে? জেনে নিন কেমন হল

নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজটি।
Posted: 04:18 PM Jan 16, 2022Updated: 09:44 PM Jan 16, 2022

সুলয়া সিংহ: শাহরুখ খানের ডর কিংবা আনজাম ছবির কথা মনে আছে? ভালবাসার মানুষের স্বার্থে হিরোই হয়ে ওঠে ভিলেন। ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’ সিরিজটি সেই শাহরুখকে মনে করিয়ে দেয়। তবে ওয়েব সিরিজের জমানায় তার ব্যপ্তি দীর্ঘায়িত হয়েছে। এক সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়ির যুবক সাধারণ কিন্তু সুখের জীবনের খোঁজ চাইলে তাকে ঠিক কতখানি লড়াই করতে হয়, এ কাহিনির মূল বিষয়বস্তু সেটাই। যেখানে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি নানা মোড় নিয়েছে। রোম্যান্টিক গল্প বদলে গিয়েছে থ্রিলারে। আর সেই সব টুইস্টেই জমে ওঠে সিদ্ধার্থ সেনগুপ্তর নয়া ওয়েব সিরিজ।

Advertisement

ওয়েব সিরিজের গল্প:
উত্তরপ্রদেশের ওংকারা এলাকার ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র বিক্রান্ত মন দেয় সহপাঠী সাক্ষীকে। মধ্যবিত্ত স্বপ্নে উড়ান ভরেই এগোয় প্রেমকাহিনি। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় এলাকার প্রতাপশালী নেতা আখিরাজ ও তার মেয়ে পূর্বা। যেনতেনপ্রকারে বিক্রান্তকেই বিয়ে করতে চায় পূর্বা। মেয়ের মুখে হাসি ফোটাতে সদা প্রস্তুত আখিরাজ। কিন্তু সাক্ষীকে হারাতে নারাজ বিক্রান্ত। পুরো মার মার-কাটকাট পরিস্থিতি। গল্পের গতি যত বাড়ে, তত ভয়ংকর চক্রব্যূহতে ফাঁসতে থাকে কাহিনির হিরো। বদলা নেওয়ার মনোভাবও দৃঢ় হতে থাকে। কিন্তু এ যে ডেভিড বনাম গোলিয়াথের লড়াই! এর চেয়ে বেশি বর্ণনা দিলে তা স্পয়লারে পরিণত হবে। টুইস্টগুলো বরং নিজেই উপভোগ করবেন।

ওয়েব সিরিজটির ভাল দিক:
প্রথমত, সিরিজটি অকারণ টেনে লম্বা করা হয়নি। তাই গল্প একের পর এক যে অপ্রত্যাশিত মোড় নিয়েছে, তা দেখতে ভাল লাগে। লোকেশনের সঙ্গে কাহিনির অদ্ভুত এক একাত্বতা অনুভব করা যায়। রোম্যান্টিক দিকটিকে বজায় রেখেও রাজনীতি ও হিংসার যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা দর্শককে ভাবাবে। আরও বেশি করে ভাবাবে তাদের, যারা পৃথিবীটাকে সহজ-সরল ভাবে দেখতে অভ্যস্ত। পর্দার আড়ালের ঘৃণ্য চেহারাটা কোনও একদিন তাদের মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। গল্পে গানের ব্যবহারও মন্দ নয়। আর সিজন ওয়ান যেখানে শেষ হল, তাতে দ্বিতীয় সিজন দেখার আগ্রহ কিন্তু থেকেই যায়।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশি রকস্টারের চরিত্রে পরমব্রত, দেখুন তাঁর ‘আজব কারখানা’]

ওয়েব সিরিজের খারাপ দিক:
জঙ্গলে বাঘ একাই রাজা। আর কোথাও কেউ নেই? এমনকী বিরোধী পক্ষের উপস্থিতিও বেশ ম্নান। নাহলে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার বিক্রান্ত অন্তত বিরোধী শিবিরের দরজা ধাক্কাতেই পারত। তেমন কিছু দেখা গেল না। পূর্বার চরিত্রটি বাস্তবের তুলনায় একটু বেশি ফিল্মি।

অভিনয়:
বিক্রান্তের অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে বইকী। তাহির ভাসিন তা সুন্দরভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন। আঁচল সিং ওরফে পূর্বা নিজের চরিত্রের সঙ্গে দুর্দান্ত ন্যায়বিচার করেছেন। শোয়েতা ত্রিপাঠী অর্থাৎ সাক্ষীর অবশ্য তেমন কিছু করার ছিল না। আরও একবার ভালবেসে ফেলবেন সৌরভ শুক্লাকে। পর্দায় যাঁকে মাঝেমধ্যেই দর্শকদের হাসাতে দেখা যায়, তিনি এখানে আখিরাজ রূপ ত্রাস হয়ে উঠেছেন।

সব মিলিয়ে করোনা কালে রোম্যান্সের আড়ালে টুইস্টে ভরা থ্রিলার দেখতে নেটফ্লিক্সের পর্দায় চোখ রাখতেই পারেন।

[আরও পড়ুন: Srabanti Chatterjee: বাথটবে লাস্যময়ী লুকে শ্রাবন্তী, ‘ছবি কে তুলল?’ প্রশ্ন নেটিজেনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement