সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেল পেলেন (Nobel literature prize) ফরাসি সাহিত্যিক অ্যানি এর্নৌ। আজ, বৃহস্পতিবার স্টকহোমের সুইডিশ অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ‘যে সাহস ও নিখুঁত তীক্ষ্ণতার সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড়, বিচ্ছিন্নতা ও সম্মিলিত সংযমকে প্রকাশ করেন’ তাকে সম্মান দেখাতেই এই পুরস্কার।
৮২ বছরের এই সাহিত্যিক এযাবৎ লিখেছেন ৩০টিরও বেশি উপন্যাস। তাঁর জীবনের অধিকাংশ রচনাই আত্মজৈবনিক। তিনি বরাবরই বিশ্বাস করে এসেছেন লিখনের মুক্ত শক্তিকে। কোনও কিছুর সঙ্গে আপস না করে সহজ ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে লিখে গিয়েছেন নিজের লেখাটি। ব্যক্তিগত স্মৃতিকে এমন নিপুণ ভাবে প্রয়োগ করেছেন রচনায়, পাঠক মুগ্ধ হয়েছে। নিজেকে প্রকাশ করতে গিয়ে লজ্জা, অপমান, হিংসা অথবা অযোগ্যতা কোনও কিছুকেই গোপন করতে রাজি হননি। আর এভাবেই তিনি অর্জন করেছেন খ্যাতি। পেয়েছেন স্বীকৃতি। অবশেষে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন অশীতিপর বয়সে পৌঁছে।
[আরও পড়ুন: আম্বানিকে প্রাণনাশের হুমকি, বিহার থেকে আটক বেকার যুবক]
[আরও পড়ুন: ইপিএফে কি আর সুদ দিচ্ছে না কেন্দ্র? বিতর্কের মুখে কী জানাল অর্থ মন্ত্রক]
১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘লা আরমোরেস ভাইডস (ক্লিনড আউট)’। সেটিও ছিল আত্মজৈবনিক রচনাই। এরপর ১৯৮৪ সালে আরেক আত্মজৈবনিক রচনা ‘লা প্লেস (আ ম্যান’স প্লেস)’-এর জন্য তিনি জিতে নেন রেনোড পুরস্কার। বাবার সঙ্গে সম্পর্ক এবং ফ্রান্সের এক ছোট্ট শহরে বেড়ে ওঠা নিয়েই তৈরি হয়েছিল এই উপন্যাসের কাঠামো। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠা এবং পিতৃশিকড় থেকে দূরে সরে আসাও বর্ণিত হয়েছিল সেই লেখায়। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আব্দুলরাজাক গুর্নাহ। ঔপনিবেশিকতার প্রভাব ও শরণার্থী জীবনের সংকটের খতিয়ানই তাঁকে এনে দিয়েছিল নোবেলের স্বীকৃতি। এবার ফ্রান্সের অ্যানি এর্নো আত্মজৈবনিক রচনার জন্য পেলেন সম্মান।