সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি চলে গিয়েছেন। কিন্তু এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর পরিবারের সদস্যদের। জন্মদিনে শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবীর খোলা চিঠি হৃদয়বিদারক। মা যেন পাশেই আছে, এমনটা এখনও মনে করে চলেছেন তিনি। এদিকে টেলিভিশন থেকে কাগজে অহরহ শ্রীদেবীর খবর-ছবি। তবু অনুগামীদেরও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তিনি নেই। তবে তিনি যে নেই সেটাই সত্যি। পড়ে আছে তাঁর স্মৃতি। সেই স্মৃতি-সরণিতে পথ হাঁটলেন খোদ গুগল সিইও সুন্দর পিচাই।
[ ‘আমি ও খুশি মা হারিয়েছি, কিন্তু বাবা নিজের ‘জান’ হারিয়েছেন’ ]
ভক্তদের হৃদয়ে এখনও শ্রীদেবী বেঁচে আছেন। আজও সকলের মুখে মুখে ফিরছে ‘চাঁদনি’র কথা। আসলে শ্রীদেবী মানে তো শুধু এলিট দর্শক নন। শ্রীদেবী মানে শুধু সাধারণ দর্শকও নন। শ্রীদেবী মানে এক অবাধ মেলবন্ধন। উন্মোচন নেই। তবু শরীরী হিল্লোলে, ভাবের তরঙ্গে সব শ্রেণির দর্শককে এক ব্র্যাকেটে এনে ফেলার অভূতপূর্ব ক্ষমতা ছিল তাঁর। ফলে তিনি যেমন ‘সদমা’র সেই মিষ্টি মেয়েটি, তিনিই আবার ‘হাওয়া হাওয়াই’। তিনি যেমন ‘চালবাজ’ তেমনই তিনিই ‘চাঁদনি’। তিনি যতখানি দক্ষিণী সিনেমার, ততখানিই বলিউডের। এই রেঞ্জ এতটাই প্রসারিত যে, তাঁর চলে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরেও মন খারাপ দেশবাসীর। ওই গ্ল্যামার, এনিগমা, পারফরম্যান্স আর নতুন করে দেখতে পাওয়া যাবে না, ভেবেই আক্ষেপ জাগছে অনেকের মনে। স্মৃতিচারণা করতে বসে গুগল সিইওর কথাতেও ভেসে এল সেই সুর। উঠে এল ‘সদমা’র কথা। স্মৃতি হারিয়ে এক পূর্ণ যুবতী হয়ে উঠেছিল বালিকা। আর কী অনায়াসে শ্রীদেবী সে চরিত্র হয়ে ঢুকে পড়েছিলেন অসংখ্য যুবকের হৃদয়ে। শেষে যখন স্মৃতি ফিরল শুধু কি কমল হাসানেরই হৃদয় ভেঙেছিল? না। বরং সকলে একবাক্যে যেন বলেছিলেন, এমন স্মৃতি না ফিরলেই বোধহয় ভাল হত। সেই ‘সদমা’, ইলাই রাজার সেই মিষ্টি সুরের গান, আর শ্রীদেবীতে আজও মোহবিষ্ট সিনেপ্রেমীরা। সুন্দর জানাচ্ছেন, সদমার শ্রীদেবীকেই তাঁর সবথেকে ভাল লাগে। তাঁর মনে পড়েছে, কীভাবে বাড়ির সকলে একসঙ্গে বসে শ্রীদেবীর সিনেমা দেখত একসময়। তিনি তাই জানাচ্ছেন, অনেকের কাছেই শ্রীদেবী অনুপ্রেরণার আর এক নাম। এমন অভিনেত্রীর চলে যাওয়ায় হৃদয় ভারাক্রান্ত ছাড়া আর কীইবা হতে পারে!
The post বাড়িতে সকলে মিলে বসে শ্রীদেবীর সিনেমা দেখতাম, নস্ট্যালজিক গুগল সিইও appeared first on Sangbad Pratidin.