উপাসনা সেন: এক ছবিতে কাজ করতে চলেছেন ইশা সাহা (Ishaa Saha) ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (Indraneil Sengupta)। টলিপাড়ার খবরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই খবর। যদি সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক চলে খুব শিগগিরিই ‘ তিতিন’ নামের ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করবেন দুই তারকা। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন পায়েল সরকারও (Paayel Sarkar)। কলকাতার পাশাপাশি লন্ডনেও হবে ছবির শুটিং।
শোনা গিয়েছে, নতুন এই বাংলা ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন সুদেষ্ণা রায় ও অভিজিৎ গুহ। অনেকদিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে ইশা আর ইন্দ্রনীল বিশেষ সম্পর্কের কথা শোনা যাচ্ছে। তবে দু’জনের কেউ-ই এ নিয়ে মুখ খোলেননি কখনও। তবে রটনা, ‘তরুলতার ভূত’ ছবিটি করার পর থেকেই ইন্দ্রনীল এবং ইশার ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত। অবশ্য ওই ছবিতে তাঁদের অনস্ক্রিন ভালবাসার সম্পর্ক ছিল না।
[আরও পড়ুন: ‘কালী’ তথ্যচিত্রের পোস্টার বিতর্কের জের, গরম রড ঢুকিয়ে ধর্ষণের হুমকি পরিচালক লীনাকে]
ইন্দ্রনীল চিরকালই ‘প্রাইভেট পার্সন’। পেশাদার জীবন নিয়েই শুধু মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চান, ব্যক্তিগত জীবন তিনি আড়ালে রাখতেই ভালবাসেন। সদ্য তিনি সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় তাঁর প্রথম ‘ফেলুদা’ ছবির শুটিং শেষ করেছেন। সেই সময়েও তাঁকে প্রেম বা বরখা বিশত সেনগুপ্তের সঙ্গে দাম্পত্যে চিড় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি উত্তর দিতে চাননি।
অন্যদিকে ইশাও তাঁর কাজ নিয়েই ফোকাসড, সম্পর্ক নিয়ে কথা খরচ করতে নারাজ। সিনেমার জন্য, কাজের সূত্রে ইন্দ্রনীল এবং ইশা এবারে পাশাপাশি আসবেন এমনটাই খবর। দু’টি প্রযোজনা সংস্থা মিলে এই ছবিটি করবেন। সেপ্টেম্বরে শুটিং শুরু হতে পারে। এই প্রসঙ্গে জানতে ইন্দ্রনীলকে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। হিন্দি কাজের পাশাপাশি ইন্দ্রনীল কয়েকটি বাংলা ছবিও (পরিচয় গুপ্ত, হত্যাপুরী) করছেন এখন।
খুব সম্ভবত এই নতুন ছবিতে পায়েল ও ইন্দ্রনীল দম্পতির ভূমিকায়। আর ইশা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ রোলে দেখা দেবেন। অভিনেত্রীকে ফোন করলে, তাঁর ফোন নিরুত্তর পাওয়া যায়। ইশা সাহার বেশ কয়েকটি ছবি রিলিজের অপেক্ষায়। যেমন– ‘কলকাতা চলন্তিকা’, ‘কাছের মানুষ’, ‘কর্ণ সুবর্ণের গুপ্তধন’, ‘ঘরে ফেরার গান’, ‘সহবাসে’ ও ‘অর্জুন দ্য ওয়ারিয়র’। অন্যদিকে বলিউডে ইন্দ্রনীলের ‘ডক্টর জি’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায়, পরিচালনায় অনুভূতি কাশ্যপ।
এবার সবার নজর থাকবে অভিজিৎ-সুদেষ্ণার এই নতুন বাংলা ছবিটির দিকে। ‘জটায়ু’র পরিচালনায় এবার নতুন ফেলুদা! এখন দেখার ইশা সাহা এবং ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত কতটা পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাঁদের কাজ এবং ব্যক্তিজীবনের রসায়ন সামলান।