সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যামেরার কারসাজিতে জীবনের ‘নুক্কর’কে সাজিয়ে তুলেছিলেন। মানুষকে হাসতে শিখিয়েছিলেন ‘জানে ভি দো ইয়ারোঁ’ বলে। কালজয়ী ছবির সেই স্রষ্টা ঘুমের মধ্যে চিরনিদ্রায় চলে গেলেন। প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত পরিচালক কুন্দন শাহ।
[তিন মাসের জেল হেপাজত গায়ক জুবিন গর্গের, সঙ্গে জরিমানা]
শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মুম্বইতে নিজের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ৬৯ বছরে থামতে হল কুন্দন শাহকে। কমার্স ডিগ্রি থাকলেও একসময় তিনিই হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের অন্যতম আর্ট অব কমেডি। পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে বেরোনোর পর নামজাদা পরিচালকদের থেকে কাজ শিখতে থাকেন। ১৯৮৩ সালে ‘জানে ভি দো ইয়ারোঁ’ তৈরির পর দেশ তাঁকে চিনতে শিখে। দেশকে হাসি ফেরি করেছিলেন কুন্দন। নাসিরুদ্দিন শাহ, ওম পুরি, অভিনীত এই ছবি সেই সময় শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। পরিচালক হিসাবে প্রথম বাজিমাত করার পর সেবছর সেরা পরিচালকের পুরস্কার নিয়েছিলেন কুন্দন। এরপর অবশ্য তিনি ছোটপর্দায় মন দেন। দূরদর্শনে তাঁর কমেডি সিরিজ ‘ইয়ে জো হ্যায় জিন্দেগি’ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। প্রথম ছবির ৯ বছর পর ফের বড়পর্দায় হাত দেন। এবারও চমক। ১৯৯৩ সালে তাঁর ‘কভি হাঁ কভি না’ বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছিল। শাহরুখ খান, সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি অভিনীত এই ছবি সমালোচকদের থেকেও প্রশংসিত হয়েছিল। ২০০০ সালে ‘কেয়া কহেনা’ এবং এর ২ বছর পর ‘দিল হ্যায় তুমহারা’ তাঁর হাত দিয়ে বের হয়। এই দুটি ছবিও দর্শকদের মন জয় করেছিল। তাঁর পরিচালিত শেষ ছবি পি সে পিএম তক’।
কমেডি ও প্রেমের ছবির পাশাপাশি নিজস্বতায় আলাদা ছিলেন কুন্দন শাহ। ২০১৫ সালে অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি পুরস্কার ফিরিয়েছিলেন। পরিচালকের প্রয়াণের দিনে এই লড়াই এবং কাজের কথা বলছেন তাঁর গুণমুগ্ধ এবং সহকর্মীরা। মহেশ ভাট টুইট করে জানান, সত্যিকারের সাহসী। নতুন ধারার ছবিতে মাত্রা দিয়েছিলেন। পরিচালক করণ জোহরের প্রতিক্রিয়া প্রকৃত পরিচালক। দারুন গল্প বলতে পারতেন। অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ টুইটারে লেখেন একজন বড় মাপের গল্পকার। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের প্রতিক্রিয়া বিদায় কুন্দন। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে বিশাল অবদানের জন্য তোমায় মনে রাখব।
The post দেশকে হাসিয়ে চিরবিদায় পরিচালক কুন্দন শাহের appeared first on Sangbad Pratidin.