সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৩ সাল যতই শাহরুখের ‘কামব্যাকে’র বছর বলে চিহ্নিত হোক, রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিম্যাল’ ঝড় তুলেছে প্রেক্ষাগৃহে। তবে ঘিরে দর্শকের উদ্দীপনার পাশাপাশি ছবির ‘ভায়োলেন্স’ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। যদিও ছবির পাশে দাঁড়িয়েছেন রণবীরের শ্বশুর মহেশ ভাট। এবার করণ জোহরও পঞ্চমুখ হলেন সঞ্জয় রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি নিয়ে। ‘অ্যানিম্যাল’কে ঘোষণা করলেন ২০২৩ সালের সেরা ছবি হিসেবে।
সম্প্রতি এক আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন ‘কুছ কুছ’ পরিচালক। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমি বলেছিলাম আমার ‘অ্যানিম্যাল’ ভালো লেগেছে। আর তা শুনে লোকেরা আমার উপরে চড়াও হয়েছিল। তাদের বক্তব্য, আমি ‘রকি অউর রানি’ বানিয়েছি যেটা ‘অ্যানিম্যালে’র একেবারে বিপরীত।” করণের সাফ কথা, ‘কবীর সিং’ও তাঁর ভালো লেগেছিল। এই পরিস্থিতিতে রণবীরের ছবিটিকে বছরের সেরা বলতে তাঁর ভয় লাগছে। কেননা লোকে এই মন্তব্য শুনে বিচার শুরু করে দেবে। তবে এর পরও তারকা পরিচালকের স্বভাবসিদ্ধ বক্তব্য, ”জানি লোকে এসব শুনে আমার দিকে বাঁকা চোখে তাকাবে। কিন্তু আমি পরোয়া করি না।”
[আরও পড়ুন: হৃতিক-দীপিকার ‘ফাইটার’ কত ঘণ্টার সিনেমা জানেন? শুনলে অবাক হবেন!]
কিন্তু ছবিটি কেন এত ভালো লাগল করণের? ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ”আমার ‘অ্যানিম্যাল’ (Animal) ভালো লেগেছে তার কারণ এটা একেবারে মিথ ভাঙা, ব্যাকরণ ভাঙা, সম্পূর্ণ দৃঢ় প্রত্যয়ে বলা গল্প। মূলধারার ছবির সব অচলায়তন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আচমকাই ইন্ট্যারভ্যাল ব্লকে এসে আপনি দেখবেন নায়ক সব দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে আর লোকেরা গান গাইছে… আমার মনে হয়েছিল, আরে এমন দৃশ্য কে কবে দেখেছে! এ তো জিনিয়াস!”
ছবির শেষে নায়ক ও ভিলেনের মারামারির কথাও বলেছেন করণ (Karan Johar)। স্ক্রিনে কেবলই রক্ত, তবু সেখানে গান বেজেছে। আর এই দৃশ্যেও চোখে জল এসেছে পরিচালকের। এই ভাবনাটাকে যতই ‘ভুল’ মনে হোক, পরিচালক যে গড়পড়তা মানসিকতার নন, তাতে নিশ্চিত করণ। ছবিটি দুবার দেখেন তিনি। প্রথমবার নিছক দর্শক হিসেবে। দ্বিতীয়বার বিশ্লেষক। আর তার পরই সম্পূর্ণ মজে গিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ‘জওয়ান’ ছবিটিই গত বছরের একমাত্র ছবি যেটি রণবীরের (Ranbir Kapoor) বিতর্কিত ছবিটির থেকে ব্যবসা করেছে। তবু প্রথম থেকেই ব্যবসায়িক সাফল্য ও সমালোচনা হাতে হাত রেখে চলেছে। সমালোচকরা একেবারেই মানতে পারেননি ছবিজুড়ে রক্ত ও হিংসার বাড়াবাড়ি। এমনকী, ছবিতে নারীদের অবমাননা করা হয়েছে, এমন অভিযোগও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করণের সার্টিফিকেটকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সমালোচক মহল।