অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: সিভিক ভলেন্টিয়ারের পোশাক পরেই চুরি! তাও আবার খোদ তৃণমূল নেতার বাড়ি। ওই নেতার নাম করেই বাড়িতে ঢুকেছিল গুণধর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বেলুড়ে। এলাকায় প্রতাপশালী হিসেবেই পরিচিত তৃণমূল নেতা রিয়াজ আহমেদ। তিনি এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা হাওড়া পুরসভার পরিচালন সমিতির অন্যতম সদস্য। সিসিটিভিতে ওই ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি গতকাল সোমবার ইদের দিন সকালের। বেলুড়ের ভোটবাগান এলাকায় বাড়ি রিয়াজ আহমেদের। তিনি সেসময় বাড়িতে ছিলেন না। সিভিক ভলেন্টিয়ারের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি ওই বাড়িতে হাজির হন। রিয়াজ আহমেদের মাকে তিনি বলেন, "দাদা পাঠিয়েছে।" ফলে আর কোনও সন্দেহও করেননি তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন। ওই বাড়ি থেকেই একটি স্ট্যান্ড ফ্যান কাঁধে তুলে নেন তিনি। তবে তারপরও আরও ঘটনা বাকি আছে। কারণ, রিয়াজ আহমেদের ভাইয়ের সঙ্গেও তার দেখা হয়। ওই তৃণমূল নেতা চেয়ারও চেয়ে পাঠিয়েছেন। সেই কথা বলা হয়।
এরপরই রিয়াজ আহমেদের ভাই দলীয় কার্যালয় খুলে চেয়ার বার করে দেন। মোট পাঁচটি চেয়ার নিয়ে সে চলে যায়। পালানো নয়, সাধারণভাবেই হেঁটে ওই ব্যক্তি এলাকা ছাড়েন। পরে রিয়াজ আহমেদ বাড়িতে এলে তাঁর মা ঘটনার কথা বলেন। প্রথমে তিনি বিষয়টিকে আমল দেননি। পরে গোটা ঘটনাটি শোনার পর তিনি নড়েচড়ে বসেন। খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ারকে তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়নি। সেই কথা জানা যায়। এরপরেই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশকর্মীরা তৃণমূল নেতার বাড়ি গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। তখনই বেরিয়ে পড়ে আসল ঘটনা।
নেতার বাড়িতে যাওয়া ওই ব্যক্তি মোটেও সিভিক পুলিশ নন। ওই ব্যক্তি আদপে এক পাকা চোর। হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা তিনি। এরপরেই পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় ছবি পাঠাতে শুরু করে। ঘটনার পরে ওই ব্যক্তি গা ঢাকা দিয়েছেন। প্রশাসনিক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।