সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন কুমার শানু (Kumar Sanu)। দিল্লির মসনদে তখন ক্ষমতায় কংগ্রেস। তবে সেই পুরস্কারপ্রাপ্তির পর ১৪ বছর কেটে গেলেও আজও কুমার শানুর হাতে জাতীয় পুরস্কার ওঠেনি। তিনি সেই গায়ক, যিনি একদিনে ২৮টি গান রেকর্ড করে গিনেস বুকে নাম তুলেছিলেন। সেটা ছিল ১৯৯৩ সালে। তার ঠিক তিন বছর আগে ১৯৯০ সালে ‘আশিকি’র গান গেয়ে গোটা দেশ তোলপাড় করে দিয়েছিলেন কেদারনাথ ভট্টাচার্য ওরফে কুমার শানু।
এবার জাতীয় পুরস্কার (National Award) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিলেন কুমার শানু। সম্প্রতি ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা গায়ক-গায়িকার শিরোপা পেয়েছেন দক্ষিণের কালা ভৈরব এবং বলিউডের বঙ্গকন্যা শ্রেয়া ঘোষাল। কেন ৪০ বছরের কেরিয়ারে আজও কুমার শানুর হাতে জাতীয় পুরস্কার উঠল না? এবার এক সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়েই মুখ খুললেন গায়ক।
ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে শানুর মন্তব্য, “আসলে বিষয়টা হচ্ছে, আমার পদ্মবিভূষণ কিংবা জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। তবে আমার কিছু যায়-আসে না। এটা পুরোপুরি সরকারের বিষয়। এটা যে সম্মানের, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে খারাপ লাগে। আমার অবশ্য এখন অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। আপনার যদি কাউকে তেল দেওয়ার অভ্যেস না থাকে, আপনি এইসমস্ত পুরস্কারগুলো পাবেন না। আমি নিজেও বুঝে গেছি এটা। আর আমার মনে হয়, আমজনতাও বিষয়গুলো জানেন। চেনাশোনা থাকলে তবেই এসব পুরস্কার পাওয়া যায়।”
[আরও পড়ুন: শাহরুখই কাশ্মীরের প্রাণভোমরা! ‘পাঠান’-এর পর উপত্যকাকে ‘টনিক’ জোগাচ্ছে ‘জওয়ান’]
এরপরই কুমার শানুর সংযোজন, “আমার এই ধরণের কোনও যোগাযোগ নেই যে আমি নিজের জন্য একটা জাতীয় পুরস্কার ম্যানেজ করতে পারি, সেটা ঠিক আছে। জীবনে কোনওদিন এসব নিয়ে মাথাও ঘামাইনি। কে কী করছে, তাতে যায়-আসে না আমার! আজকের দিনে দাঁড়িয়েও এইকথা বলছি আমি। সরকার যেদিন মনে করবে আমি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য, সেদিন দেবে। আমি কী করতে পারি, যদি আমাকে জাতীয় পুরস্কার না দেওয়া হয়।”