সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টা পার! গত দু দিনে চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শনিবারের তুলনায় মহাগুরুর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। পরীক্ষায় মস্তিষ্কে কোনও ক্লট পাওয়া যায়নি। বাকি পরীক্ষার রিপোর্টও সব ঠিক রয়েছে। আপাতত উদ্বেগের কোনও কারণ দেখছেন না চিকিৎসকরা। আর তাই সোমবারই মহাগুরুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কলকাতাতেই থাকছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কারণ, ‘শাস্ত্রী’ ছবির শুটিং অনেকটা বাকি। সেটে ফিরে কী কী করবেন, গত দু দিনে হাসপাতালে বসেই তার প্ল্যান কষে ফেলেছেন তিনি। রবিবার সুকান্ত মজুমদার দেখা করতে গেলে, তাঁর কাছেও সোমবার থেকে শুটিং করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে চিকিৎসকরা আপাতত দিন তিনেক বিশ্রাম নিতে বলেছেন মহাগুরুকে। সূত্রের খবর, তিন দিন বাদেই সোহম চক্রবর্তী প্রযোজিত তথা পথিকৃৎ বসু পরিচালিত সিনেমার কাজে ফিরবেন তিনি। মুখিয়ে রয়েছেন শুটিংয়ে ফেরার জন্য।
শনিবার মেগাস্টারের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিনোদুনিয়া থেকে রাজনৈতিকমহল উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক মতাদর্শ, রং সমস্ত কিছু দূরে সরিয়ে রেখে গত দুদিনে তাঁকে দেখতে ছুটে গিয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ ও বিধায়করাও। সেই তালিকায় যেমন দেবশ্রী রায়, দেব, সোহম চক্রবর্তীরা রয়েছেন, তেমনই সুজিত বসুকেও দেখা গিয়েছে উদ্বিগ্ন মুখে হাসপাতাল থেকে বেরতে। রবিবার ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে অধিবেশন সেরেই রবিবার কলকাতায় পা রেখে মিঠুনকে দেখতে গিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে মিঠুনের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ খোশমেজাজে আড্ডাও দেন। জয়পুর থেকেই শুটিংয়ের ফাঁকে খোঁজ নিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষও। শুধু তাই নয়!
[আরও পড়ুন: একুশের ভোট ‘সেনাপতি’ মিঠুনকে ফোন মোদির, নিলেন স্বাস্থ্যের খবর]
মিঠুনকে দেখতে সোমবার সাত সকালে গেলেন দিলীপ ঘোষও। দ্রুত আরোগ্য কামনা করে মহাগুরুকে হাসপাতালে দেখতে ছুটেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তীও। একসময়ে বামপন্থী রমলার হয়েও ভোটপ্রচার করতে দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। বিগত কয়েক দশক ধরেই তাঁদের পারিবারিক সখ্যতা রয়েছে। সেই টানেই মিঠুনের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন রমলা চক্রবর্তী। একসময়ে তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেছেন মিঠুন, তবে একুশের বিধানসভা ভোটেই সেই সমীকরণ বদলে যায়। বাম-তৃণমূলের হয়ে প্রচারের পর গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হয়ে থাকুক না কেন, মেগাস্টারই কিন্তু গত দুদিনে একছাদের তলায় দেখা গেল দুই বিরোধী শিবিরকে। এটাই মিঠুন ম্যাজিক।