সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদক মামলায় মাসের পর মাস তদন্তের পর আরিয়ান খানের (Aryan Khan) বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে প্রকাশ্যে এসেছে এই খবর। কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ নন শাহরুখপুত্র। অপরাধও করেননি। এমনটাই নাকি বেরিয়ে এসেছে সিটের তদন্তে।
গত বছরের ২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে হানা দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেখান থেকেই আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাকে আটক করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। পরে আর্থার রোড জেলে রাখা হয় শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছেলেকে। গত ২৮ অক্টোবর আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাই কোর্ট। তার দু’ দিন পর আর্থার রোড জেল থেকে মন্নতে ফেরেন আরিয়ান। আরিয়ানের পর জামিনে ছাড়া পান আরবাজ ও মুনমুন।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, ‘পাঠানে’র টিজারে নয়া লুকে ধরা দিলেন শাহরুখ, ঘোষিত ছবি মুক্তির দিনও]
শোনা গিয়েছে, আরিয়ান, মুনমুন, আরবাজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কোনও অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পাননি এনসিবি-র (NCB) তদন্তকারী অফিসাররা। আরিয়ানের কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। এমনকী, কর্ডেলিয়া ক্রুজে যখন নারকোটিক্স কন্ট্রোল অফিসাররা হানা দেন, সে সময়ও আরিয়ান নেশাচ্ছন্ন ছিলেন না। তাঁর মোবাইল এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে রাখার কোনও প্রয়োজন ছিল না বলেও মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর মানলে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তেও কিছুটা ফাঁক ছিল। সাধারণ এনসিবির আধিকারিকরা যখন কোথাও হানা দেন, সেই ঘটনা রেকর্ড করে রাখা হয়। কিন্তু কর্ডেলিয়া ক্রুজে হানা দেওয়ার কোনও ভিডিও নেই। আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে আরিয়ানের যোগাযোগের কোনও প্রমাণও নেই বলেই জানা গিয়েছে। তবে এখনও কিছুটা তদন্ত বাকি। সেই কাজ সম্পূর্ণ হলেই এনসিবির ডিরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধানের কাছে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেবে সিট।