সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ম্যায় অটল হুঁ’ সিনেমার জন্য চব্বিশের লোকসভা ভোটের (Loksabha Election 2024) আগেই নির্বাচন কমিশনের ‘ন্যাশনাল আইকন’ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী (Pankaj Tripathi)। সেই সিনেমা কি আসন্ন নির্বাচনী প্রচারে গেরুয়া শিবিরের অস্ত্র হতে পারে? প্রশ্ন উঠেছে ওয়াকিবহাল মহলে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন ‘অটল’ অভিনেতা।
একদিকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধন। আর তার ঠিক প্রাক্কালেই ১৯ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অটলবিহারীর বায়োপিক ‘ম্যায় অটল হুঁ’ (Main Atal Hoon)। ভোট রাজনীতিতে এর আগে যে সিনেমাকে প্রচারের অস্ত্র করা হয়েছে, তা বোধহয় আর আলাদা করে উল্লেখ করার প্রয়োজন হয় না। চব্বিশ সালের লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর বায়োপিককেও কি ভোটপ্রচারের হাতিয়ার করা হবে? প্রশ্ন ওটা অস্বাভাবিক নয়! সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী।
অটলবিহারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। পঙ্কজের কথায়, “সিনেমা তৈরির সময়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন ছিলাম যাতে এই ছবি কোনওভাবেই প্রোপাগান্ডা কিংবা প্রচারমূলক বার্তা না দেয়। ‘ম্যায় অটল হুঁ’ অটলজির ব্যক্তিত্ব, তাঁর রাজনৈতিক ব্যক্তিগতজীবনের আঁধারে তৈরি। সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা। বায়োপিকের কাজ হল লোককে সিনেমা উপভোগ করার সুযোগ দেওয়া। সব তথ্য যাতে ঠিকঠাক থাকে, আমাদের সেদিকে কড়া নজর ছিল।”
[আরও পড়ুন: ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশনের ‘ন্যাশনাল আইকন’ পদ ছাড়লেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী, কেন?]
পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সংযোজন, “এই ছবিতে অটলজির সময়কার রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। সেই স্বাধীনতার সময় থেকে ভারতীয় রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। সেইসময়ে কীভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হল, দেশের নাগরিকরা ভোট নিয়ে কী ভাবতেন? সমাজের কতটা পরিবর্তন হয়েছিল? যাবতীয় বিষয়গুলো রয়েছে ‘ম্যায় অটল হুঁ’ ছবিতে।”