shono
Advertisement

রামনবমীর ছুটিতে প্রবল আপত্তি কবীর সুমনের, সোশাল মিডিয়ায় গর্জে উঠলেন শিল্পী?

কী লিখলেন সুমন?
Posted: 10:56 AM Mar 10, 2024Updated: 11:24 AM Mar 10, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে রামনবমীর রমরমা। বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি সাড়ম্বরে রামনবমী পালন করে কলকাতা ও জেলায়-জেলায়। রীতিমতো অস্ত্র মিছিল বের করে তারা। এই রামনবমীকে কেন্দ্র করে হিন্দুত্বের তাস খেলার চেষ্টা ছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তার আগেই রাজ্য সরকার রামনবমীর দিন রাজ্যজুড়ে ছুটি ঘোষণা করলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ছুটি ঘোষণাকে রাজনৈতিক মহল লোকসভা নির্বাচনের আগে মাস্টারস্ট্রোক হিসেবেই দেখছেন। তবে রামনবমীতে ছুটি নিয়ে মোটেই খুশি নন শিল্পী কবীর সুমন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল সরকারের ঘোষিত সমর্থকের গলাতেই ক্ষোভের সুর। ফেসবুক পোস্টে রীতিমতো এই রামনবমীর ছুটির সমালোচনায় বাংলার ‘গানওয়ালা’।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিক্রমের হাতে রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ হাতিয়ার, মঞ্চে ধামাকা, দেখুন ভিডিও]

কবীর সুমন ফেসবুকে লিখলেন, ”আর পারলাম না। রামনবমীতেও আমার রাজ্যে ছুটি। মানছি না। রামনবমী = জাতীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন দিবস। ঐ দিন হবে আমার রাজ্যে ছুটির দিন। চমৎকার। অনেক দিন আগে আমাদের গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বোম্বের শিল্পীদের আমরা এত টাকা, সম্মান দিয়ে বাংলায় আনি কেন? কেন তাদের দিয়ে গান গাওয়াই? বোম্বের লোকেরা কি ওদের গণেশ পুজোয় বাঙালি শিল্পীদের নিয়ে যায়? হিন্দিহিন্দুত্বওয়ালাদের তোয়াজ করতে রামনবমীর ছুটি? মানছি না আমি। আমি বাধ্য হচ্ছি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতা করতে। এই সরকার বাংলা খেয়ালকে মান্যতা দিয়েছেন। তাঁদের কুর্ণিশ জানিয়েছি বারবার। কিন্তু এ রাজ্যের ভাষা বাংলা। সেই ভাষায় খেয়াল রচনা গাওয়া শেখানো হবে এটাই তো স্বাভাবিক। কাজেই রাজ্য সরকার অস্বাভাবিক কিছু করেননি। তাঁদের করণীয় কাজের সীমা পেরিয়ে করেননি কিছু।”

তবে শুধু রামনবমীর ছুটি নয়। এই প্রসঙ্গ টেনে, নতুন এক সঙ্গীত একাডেমি তৈরির কথাও বলেন তিনি। যে একাডেমি সরকার বা কোনও দল বা নেতার মুখাপেক্ষী থাকবে না। কবীর সুমন লিখলেন, ”কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা সরকার যদি সত্যিই করে থাকেন তাহলে আমি সরকারের এই ঘোষণার এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলায় খেয়াল রচনা ও গাওয়া শুরু করেছিলাম কোনও নেতা বা সরকারের মুখ চেয়ে নয়। বাংলা খেয়ালের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম একজন নাগরিক হিসেবে। অন্যায় আবদার করিনি। শারীরিক বিকলতা সত্ত্ব্বেও আমি বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করে যাবো যতদিন পারব। চেষ্টা করব একটা একাডেমি তৈরি করে যেতে যা সরকার বা কোনও দল বা নেতার মুখাপেক্ষী থাকবে না। জয় বাংলা, জয় বাংলা ভাষা, জয় বাংলা খেয়াল কবীর”।

[আরও পড়ুন: পেটে প্রচণ্ড ব্যথা, হাসপাতালে অর্জুন বিজলানি, কী হয়েছে অভিনেতার?]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement