নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অবশেষে জিএসটি ক্ষতিপূরণের পুরো টাকা মেটানোর আশ্বাস দিল কেন্দ্র সরকার। দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) জানিয়েছেন, যেসব রাজ্য এজির রিপোর্ট জমা দিয়েছে, সেই রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা এখনই মিটিয়ে দেওয়া হবে। বাকি রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণের (GST Compensation) টাকা এজির রিপোর্ট জমা দিলেই মেটানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জিএসটি (GST) চালু হওয়ার সময়ই কেন্দ্র জানিয়েছিল, যেহেতু নতুন কর ব্যবস্থায় রাজ্য সরকারগুলির রাজস্ব আদায় কমে যাবে, তাই কেন্দ্র সেই টাকার দরুণ রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেবে। প্রথম পাঁচ বছরের জন্য এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু বাংলা-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে এখনও ক্ষতিপূরণের একটা বড় অঙ্ক পায়নি। এই নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিস্তর টানাপোড়েন হয়েছে, বহু লেখালেখিও হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভাগাড়েও দুর্নীতি! গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে CBI তদন্তের দাবি বিজেপি বিধায়কেরই]
অবশেষে শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানালেন, যেসব রাজ্য এখনও পর্যন্ত রাজ্যের এজির রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা দিয়েছে তাঁদের ১৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বাংলা এই তালিকা থেকেও বঞ্চিত। কেন্দ্রের অভিযোগ, বাংলার সরকার এখনও পর্যন্ত এজির রিপোর্ট জমা দেয়নি। বাংলা এজির রিপোর্ট (AG Report) জমা দিলেই বাংলার টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, দ্রুত রাজ্যও এজির রিপোর্ট দিয়ে দেবে। পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম দু’বছরের এজির রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেটার ক্ষতিপূরণ রাজ্য পেয়েও গিয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছিল, এজির রিপোর্ট জমা পড়ার আগে যাতে অন্তত লোকসানের কিছুটা অঙ্ক মেটানো হয়। ৩ বছরে এই অঙ্কটা ২ হাজার ৪০৯ কোটি টাকার হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী তাতে রাজি হননি। এজির রিপোর্ট জমা পড়লেই টাকা মেটানো হবে বলে জানানো হয়।
[আরও পড়ুন: ভারতে আরও চিতার আগমন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একডজন প্রাণীকে ছাড়া হল কুনো অরণ্যে]
এদিন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একাধিক পণ্যে কমানো হয়েছে শুল্ক। জিএসটি কাউন্সিল গুড়ে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুল্ক কমছে পেনসিল শার্পনার এবং ট্র্যাকিং ডিভাইসেরও। গুড়ের ক্ষেত্রে শুল্ক ১৮ শতাংশ থেকে শূন্য করা হচ্ছে। আর শার্পনারের ক্ষেত্রে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ করা হচ্ছে।