সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেসরকারি কর্মীদের অবসরকালে নিরাপত্তা বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ। কর্মীদের পেনশন খাতে আরও বেশি টাকা সঞ্চয়ের সুযোগ দিচ্ছে EPFO। যে সমস্ত কর্মীরা এখনও নতুন এবং বর্ধিত পেনশন পদ্ধতি গ্রহণ করেননি, তাঁদের নতুন করে বর্ধিত পেনশন পদ্ধতি গ্রহণ করার সুযোগ দিচ্ছে EPFO। সোমবার এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সমস্ত আঞ্চলিক এবং জোনাল অফিসকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী এই বর্ধিত পেনশন প্ল্যান? এই মুহূর্তে EPFO-র অধীনে সংস্থা এবং কর্মীর বেসিক বেতনের ১২ শতাংশ বেতন কেটে জমা করা হয়। এর মধ্যে কর্মীর ১২ শতাংশের পুরোটাই জমা পড়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডে। এবং সংস্থার তরফে দেওয়া ১২ শতাংশ দুটি ভাগে ভাগ হয়। এই ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ জমা হয় পেনশন স্কিমে। বাকি ৩.৬৭ শতাংস জমা পড়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডে। পেনশন স্কিমে ৮.৩৩ শতাংশ সংস্থার দেওয়া টাকার সঙ্গে সরকারও ১.৬৭ শতাংশ অর্থ দেয়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে কর্মীর বেসিক বা মূল বেতনের ১০ শতাংশ টাকা জমা পড়ে পেনশন খাতে। আর প্রায় ১৫ শতাংশ বেতন জমা পড়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডে।
[আরও পড়ুন: ‘গোমাংস খাওয়া নিয়ে যস্মিন দেশে যদাচার বিজেপির’, মাওরি-হোসাবলের মন্তব্যে কটাক্ষ উদ্ধবের]
কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কোনও কর্মীর বেসিক বেতন যদি ১৫ হাজার টাকার বেশি হয়, তাতেও পেনশনের ক্ষেত্রে তাঁর মূল বেতন ১৫ হাজার টাকা ধরা হত। অর্থাৎ ১৫ হাজার টাকার ৮.৩৩ শতাংশই পেনশন স্কিমে জমা পড়ে। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে এই ১৫ হাজার টাকার সীমা তুলে দেওয়া হবে। বদলে পেনশনের ক্ষেত্রেও সব কর্মীর ‘আসল মূল বেতনের’ ৮.৩৩ শতাংশই পেনশন স্কিমে কাঁটা হবে। অর্থাৎ যাঁদের মূল বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি তাঁরা আরও বেশি পরিমাণ টাকা পেনশন স্কিমে জমা করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: বিরোধী সাংসদের আচরণে ক্ষুব্ধ ধনকড়, ১২ জনের বিরুদ্ধে সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ]
যদিও ইপিএফও কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশিকায় আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরের আগে থেকে যারা ইপিএফও সদস্য শুধুমাত্র তাঁরাই নতুন বর্ধিত পেনশন কাঠামো গ্রহণ করতে পারবেন। তাঁদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সে সংক্রান্ত নির্দেশিকা আরও শীঘ্রই দেওয়া হবে।