সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। বেকারত্ব বেড়েছে লাফিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে আরও খারাপ খবর পেতে পারে চাকুরিজীবীরা। কমতে পারে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার (Interest rate)। অথচ এই টাকার উপর নির্ভর করেই বহু অবসরপ্রাপ্ত মানুষের দিন গুজরান হয়। এবার জমাপুঁজির সুদের হারেও কোপ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
করোনা লকডাউনের জেরে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (EPFO) আয়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর এর জেরেই চলতি অর্থবর্ষের শুরুতে যে সুদের হার ঘোষণা করা হয়েছিল আমানতকারীদের তার থেকে কম হারে সুদ দেওযা হতে পারে। প্রথমে সরকার জানিয়েছিল, যে চলতি অর্থবর্ষে ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে পিএফ অ্যাকাউন্টধারীদের। তবে সেই হার কমার পথে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই হার কমে দাঁড়াতে পারে ৮.১ শতাংশ।
[আরও পড়ুন : মৃত মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে দোষী ইউসুফ মেমন, নাসিক সংশোধনাগার থেকে উদ্ধার দেহ]
অর্থবর্ষের শুরুতে ঘোষিত সুদের হার নির্ভর করে আমানতকারীদের থেকে আসতে চলা টাকার পূর্বাভাসের নিরিখে। কিন্তু বছরের প্রথমভাগেই দেশে জাঁকিয়ে বসেছে করোনা আতঙ্ক। সেই সংক্রমণ সামলাতে চলছে লকডাউন। ফলে বেতনে কাটছাঁট, চাকরি যাওয়া-সহ একাধিক কারণে পিএফ-এর খাতাতে আমানতকারীদের তরফেও কম পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে।
[আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি]
প্রসঙ্গত, ইপিএফও ভারতের সবচেয়ে বেশি ঋণপত্রে লগ্নি করে থাকে। লকডাউনের আগে গড়ে প্রতি মাসে ৮০০০ থেকে ৯০০০ কোটি টাকা লগ্নি হত। বর্তমানে সেই লগ্নি ৫০০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। লগ্নি কমেছে ইকুইটির ক্ষেত্রেও ইপিএফ ও। সংস্থাগুলিও করোনা লকডাউনের জেরে আর্থিক চাপে রয়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। আর তার কোপ পড়তে চলেছে পিএফের সুদেও।
The post লকডাউনের কোপ এবার পিএফেও! কমতে পারে সুদের হার appeared first on Sangbad Pratidin.