সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'সীমান্তপারে সন্ত্রাস চালিয়ে ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনার নীতি আর বরদাস্ত করা হবে না। এক্ষেত্রে মারের বদলা মারই মিলবে', নতুন ভারতে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈদেশিক নীতি এভাবেই স্পষ্ট করে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। শুক্রবার পাকিস্তানকে কার্যত 'আল্টিমেটাম' দিয়ে জয়শংকর জানালেন, 'সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। এবার দিল্লির অবস্থান, আলোচনা নয়, অ্যাকশন।'
ভারতের 'শত্রু প্রতিবেশী' তালিকায় সর্বদা সবার উপরে জায়গা নিয়ে এসেছে পাকিস্তান। একাধিকবার দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তবে বন্ধুত্বের আড়ালে মিলেছে শুধু বিষ। এই পরিস্থিতিতে পাক নীতিতে পুরোপুরি বদল আনার বার্তা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। দিল্লিতে এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভারত-পাক সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, "অতীতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের যে নীতি ভারতের ছিল যে যুগের অবসান ঘটেছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারাও অবলুপ্ত হয়েছে। এখন বিষয় হল পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা কেমন সম্পর্ক রাখতে চাই। এ বিষয়ে ভারতের স্পষ্ট নীতি হল, আপসের কোনও প্রশ্নই নেই। ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক, আমরা পালটা প্রতিক্রিয়া দেব।"
[আরও পড়ুন: জুম্মার নামাজে ২ ঘণ্টার বিরতি বাতিল, বিতর্ক জিইয়ে বড় সিদ্ধান্ত অসম বিধানসভায়]
পাকিস্তানের রণনীতি স্পষ্ট করে বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, "পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য আমরা কোনওভাবে সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করব না। ওদের রণনীতি হল, সীমান্তপারে সন্ত্রাস করে ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনা। কিন্তু ভারত এই নীতিকে বরদাস্ত করবে না।" শুধু তাই নয়, জয়শংকর আরও জানান, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা সবসময়ই কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। কিছু সমস্যা মেটানোও যায় না। তবে সেই তালিকায় পাকিস্তান যে মাত্রা ছাড়া তা বুঝিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, '২০১৯ সালের পর ইমরান খান এমন কিছু পদক্ষেপ করেছেন যাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে।'
[আরও পড়ুন: মারাঠা অস্মিতায় আঘাত, মূর্তি ভাঙায় শিবাজির পায়ে মাথা ঠেকিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী মোদি]
পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোন পথে এগোচ্ছে সে বিষয়ে বার্তা দিয়ে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ তৈরির সময় থেকে সে দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। তা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। এবং বর্তমান সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে আমাদের।