সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএস তথা ইসলামিক স্টেটের যৌনদাসী হিসাবে মাসের পর মাস গণধর্ষিতা হয়েছেন৷ ধরেই নিয়েছিলেন, জাহান্নমে থাকতে থাকতে এভাবেই একদিন মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হবে৷ সেই নারকীয় জীবন থেকে উদ্ধার পেলেন নাটকীয়ভাবে৷ অনেক পথ হেঁটে এখন তিনি রাষ্ট্রসংঘের গুডউইল অ্যাম্বাসাডর৷ তিনি নাদিয়া মুরাদ৷ এখন ২১ বছর বয়স৷
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১৯ বছর বয়স থেকেই আইএসের কব্জায়৷ তার পর থেকে যৌনদাসত্ব এবং গণধর্ষণের শিকার৷ ইরাকের কুর্দ জনগোষ্ঠীর ইয়াজিদি ধর্মাবলম্বী মেয়ে নাদিয়া৷ তাদের গ্রামে ঢুকে পুরুষদের বেছে বেছে খুন করে আইএস তথা দায়েশ জঙ্গিরা৷ শিশু থেকে যুবতী ও প্রৌঢ়া, সব বয়সের মহিলাদের অপহরণ করে তারা৷ যৌনতৃপ্তির জন্য ও ফাইফরমায়েশ খাটাতেই তাদের ব্যবহার করা হত৷ তাদের গ্রামের এক দিনে পাঁচ হাজার মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়৷ বাধা দিতে আসায় নাদিয়ার মা, বাবা ও ভাইকে খুন করে জঙ্গিরা৷
সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা, দায়েশের মহিলা জঙ্গিরাও ইয়াজিদি মহিলাদের ধর্ষণ করাকে সমর্থন করত৷ ধর্ষণ করার জন্য আইএসের পুরুষ জঙ্গিদের তারা উৎসাহ দিত৷ অনেক চেষ্টার পর একদিন পালান নাদিয়া৷ পরে জার্মানিতে আশ্রয় নেন তিনি৷ আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার রক্ষা কর্মী আমাল ক্লুনির সাহায্যে তাঁর শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা শুরু হয়৷ আমালের সাহায্যেই পুনর্জন্ম হয় নাদিয়ার৷
The post আইএসের যৌনদাসী থেকে রাষ্ট্রসংঘের দূত নাদিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.