বেলজিয়াম: ৩ (লুকাকু ২, থমাস)
রাশিয়া: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরো শুরুর দ্বিতীয় দিনেই বড়সড় অঘটন। খেলা চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। গোটা ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়ল গোটা ফুটবল বিশ্ব। দীর্ঘসময়ের জন্য বন্ধ থাকল ডেনমার্ক বনাম ফিনল্যান্ড ম্যাচও। যদিও শেষপর্যন্ত ফুটবল ফিরল ফুটবলেই। ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচ যেমন হল, তেমনই একে-অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামল বেলজিয়াম এবং রাশিয়াও। যদিও প্রত্যাশামতোই ধারেভারে এগিয়ে থাকা রেড ডেভিলসদের বিরুদ্ধে খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না রাশিয়ানরা। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের ক্লাব সতীর্থ রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোল এবং থমাস মিউনিয়ের গোলে সহজেই ম্যাচ জিতল বেলজিয়াম।
২০১৮ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল। ফেভারিটের তকমা নিয়েও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ০-১ হারল বেলজিয়াম। ম্যাচ শেষে তখন এডেন হ্যাজার্ডের চোখে জল। রোমেলু লুকাকুও মাঠের একপাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ফ্যাকাশে মুখে। সেন্ট পিটার্সবার্গের গ্যাজপ্রম এরিনায় সে দিন এমনই তো ছবি ছিল বেলজিয়ামের। পুরো যেন ট্র্যাজেডি। সর্বস্ব দিয়ে সর্বহারা হওয়ার মতো। প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে সেই অভিশপ্ত দিনের পর। কাকতালীয় ভাবে সেই সেন্ট পিটার্সবার্গের গ্যাজপ্রম এরিনাতেই এদিন নিজেদের ইউরো অভিযান শুরু করল বেলজিয়াম। তার উপর আগের ম্যাচ চলাকালীনই ঘটে গিয়েছে ওই ধরনের বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারের সঙ্গে অভব্য আচরণ, বড়সড় শাস্তি শাকিবের]
তা সত্ত্বেও বেলজিয়ামের খেলায় শুরু থেকেই দেখা গেল সেই ঝাঁঝ। ম্যাচের বয়স তখন ১০ মিনিট। রাশিয়ান ডিফেন্ডারদের অফসাইড ট্র্যাপ ভেদ করে দুরন্ত গোল করেন রোমেলু লুকাকু। এরপর গোল করে ক্যামেরার সামনে গিয়ে ক্লাবের সতীর্থ তথা অসুস্থ এরিকসনের উদ্দেশ্যে সেই গোলটি উৎসর্গও করেন। এরপরও জারি ছিল বেলজিয়ামের আক্রমণ। শেষপর্যন্ত ৩৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান থমাস। প্রথমার্ধের খেলা শেষে রেড ডেভিলসরা এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের ছবিটাও ছিল একই রকম। বলতে ফেভারিটদের মতোই ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য জমিয়ে রেখেছিলেন থোরগান হ্যাজার্ড, লুকাকুরা। এই সময় রাশিয়ার খেলোয়াড়রা গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা করলেও সফল হননি। শেষপর্যন্ত ৮৮ মিনিটে রাশিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন রোমেলু লুকাকুই। বলতে গেলে যে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল, সেই স্টেডিয়ামেই ইউরো জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করল বেলজিয়াম।