বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: মাস কয়েক আগেই অসুস্থতা কাটিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপর বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadeb Bhattacharya)। অসুস্থতার কারণে এবার ভোটও দিতে পারেননি। এরপর আবার করোনার থাবা তাঁর শরীরে। শুধু তিনিই নন, মঙ্গলবার কোভিড পজিটিভ (COVID-19) হন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। তিনি ভরতি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। আপাতত স্থিতিশীল তিনি।
আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর চিকিৎসকরা হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পরামর্শ দিলেও রাজি হননি বুদ্ধবাবু। বাড়িতেই থাকতে চান বলে জানিয়ে দেন। শ্বাসকষ্টের পুরনো সমস্যার কারণে প্রায় ২৪ ঘন্টাই অক্সিজেন সাপোর্ট থাকতে হয় তাঁকে। বুধবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করা তাঁকে ফের হাসপাতালে ভরতি করাতে তৎপর হয় সিপিএম (CPM)নেতৃত্ব। তবে তিনি কিছুতেই রাজি হননি বলে খবর। তবে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে সত্তরোর্ধ্ব বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন দলীয় নেতৃত্বের একাংশ।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে অসহায় রোগীদের পরম বন্ধু হয়ে উঠেছেন উত্তর কলকাতার এই নাট্যকর্মী]
অন্যদিকে, স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৌশিক চক্রবর্তী এবং ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ধ্রুব ভট্টাচার্য তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গা, হাতপায়ে ব্যথা রয়েছে তাঁর। রয়েছে জ্বর জ্বর ভাবও। গত ১৮ মে তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মীরাদেবীর ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। সন্ধেবেলা তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন মেপে দেখা গিয়েছে ৯৮। মীরাদেবীর রক্তপরীক্ষা করা হয়েছে। হয়েছে হাই রেজোলিউশন কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে মোদি-মমতা, থাকবেন মুখ্যসচিবও]
বুদ্ধদেববাবুর একমাত্র কন্যা সুচেতনা করোনা আক্রান্ত কি না তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তারপর তিনি নিজেই জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমিত নন। আলাদাই থাকেন সুচেতনা। তবে বাবা, মায়ের শারীরিক অবস্থার দিকে নিয়মিত নজর রাখছেন একমাত্র মেয়ে।