সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌরভ বনাম কোহলি, ভারতীয় ক্রিকেটের (Indian Cricket Team) এই বিরাট বিতর্কে এবার ঢুকে পড়লেন রবি শাস্ত্রী। টিম ইন্ডিয়ার সদ্য প্রাক্তন কোচ সবসময় সুযোগ খোঁজেন কীভাবে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে চাপে ফেলা যায়। বিরাট বিতর্কেও যে তিনি সৌরভের পক্ষ নেবেন না, সেটাই স্বাভাবিক ছিল। সেটা হলও। তবে, একটু নরমভাবে। সরাসরি নয়, এই বিরাট বিতর্কের জন্য শাস্ত্রী সৌরভকে (Sourav Ganguly) দুষলেন একটু ঘুরিয়ে।
টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন হেডকোচ বলে দিলেন, এই বিতর্ক আরও ভালভাবে সামলানো যেত। বিরাট শুধু নিজের দিকটা বলেছে। এবার বোর্ড প্রেসিডেন্টের দিকটা জানাটাও জরুরি। তবে, আরেকটু ভাল সমন্বয় থাকলে হয়তো এই বিতর্ক আরও ভালভাবে সামাল দেওয়া যেত। অর্থাৎ, পরোক্ষে শাস্ত্রী বলে দিতে চাইলেন, সৌরভের উচিত ছিল বিরাটের সঙ্গে আরও বেশি করে যোগাযোগ রাখা।
[আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আইপিএলের নিলাম! ওমিক্রন আতঙ্কে টুর্নামেন্ট নিয়ে চোরাস্রোত বোর্ডে]
ঘটনাচক্রে, বিরাট যখন টি-২০ অধিনায়কত্ব ছাড়লেন, তখনও ভারতের কোচ ছিলেন শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। স্বাভাবিকভাবেই এই পর্বের অনেকটাই তাঁর জানার কথা। তাছাড়া, কোহলি এবং শাস্ত্রী যতটা ঘনিষ্ঠ তাতে বিরাট যে তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি সেটা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। তাহলে যে সমন্বয়ের অভাবের কথা টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেডকোচ বলছেন, তার জন্য কি তিনি নিজেও কিছুটা দায়ী নন?
[আরও পড়ুন: ‘বিরাটকে সরানো নিয়ে নির্বাচকদের পরিবর্তে কেন সৌরভ মুখ খুলল?’, প্রশ্ন বেঙ্গসরকরের]
দিন দুই আগে আরও এক বিতর্ক শুরু হয়েছে ক্রিকেট মহলে। দু’দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অশ্বিন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রসঙ্গ টানেন। সিডনি টেস্টে কুলদীপ যাদব পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর তৎকালীন ভারতীয় কোচ শাস্ত্রী বলেছিলেন, এরপর থেকে কুলদীপকেই বিদেশের মাটিতে টিমের এক নম্বর স্পিনার ভাবা হবে। যা শোনার পর ভিতরে ভিতরে রক্তাক্ত হয়েছিলেন অশ্বিন। শাস্ত্রী এখন আর ভারতীয় টিমের কোচ নন। শাস্ত্রী জমানা নিয়ে রীতিমতো ফেটে পড়েন অশ্বিন। বৃহস্পতিবার আবার এক ওয়েবসাইটের আড্ডায় শাস্ত্রী পাল্টা বলেন, তিনি ভুল কিছু করেননি। প্রাক্তন ভারতীয় কোচ অশ্বিন প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘সিডনি টেস্টে অশ্বিন খেলেনি। কুলদীপ খুব ভাল বল করেছিল। তাই ওকে সুযোগ দেওয়াটা একদমই ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা যদি অশ্বিনের খারাপ লেগে থাকে, তাহলে আমি খুশি। কারণ, সেটাই ওকে আলাদা কিছু করতে তাতিয়েছিল।”