সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসেই বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি (BJP)। সরকারিভাবে গেরুয়া শিবির ছাড়লেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গিরিধর গামাং এবং তাঁর ছেলে শিশির গামাং। দু’জনেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতিতে যোগ দিতে পারেন।
গিরিধর গামাং (Giridhar Gamang) ওড়িশার প্রবীণ রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম। একটা সময় কংগ্রেসের (Congress) প্রভাবশালী নেতা ছিলেন তিনি। কোরাপুট লোকসভা কেন্দ্র থেকে রেকর্ড ৯ বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় মাস দশেক সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন প্রবীণ এই নেতা। আদিবাসীদের মধ্যে গামাং বেশ প্রভাবশালী। তাঁর ছেলেও প্রাক্তন বিধায়ক। জাতীয় রাজনীতিতে আরও একটি কারণে তিনি পরিচিত মুখ। ১৯৯৯ সালে তাঁর বিতর্কিত ভোটেই পতন ঘটে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের। আসলে আস্থাভোটের মাস দু’য়েক আগেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গিয়েছিলেন গামাং। কিন্তু নিজের সাংসদ পদ তিনি ছাড়েননি। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও ভোট দেন গামাং। সেই ঘটনার পর বিজেপির (BJP) চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছিলেন গামাং।
[আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতে শিস দিলে সেটা যৌন হেনস্তা নয়, রায় বম্বে হাইকোর্টের]
অথচ সেই গামাংকেই ২০১৫ সালে কংগ্রেস ভাঙিয়ে থেকে ভাঙিয়ে টানে বিজেপি। ততদিনে অবশ্য ওড়িশায় (Odisha) কংগ্রেস প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বিজেডির প্রধান বিরোধী হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। ৭ বছর পরে সেই বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে দল ছাড়লেন গামাং। তাঁর অভিযোগ এই সাতবছর তাঁকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। সেভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। গামাংয়ের ছেলেরও অভিযোগ, ওড়িশার বিজেপিরই একটা অংশ তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
[আরও পড়ুন: পদ্ম রাজনীতি! সম্মান প্রাপকদের তালিকায় একাধিক বিজেপি নেতা, স্বীকৃতি ওবিসি নেতা মুলায়মকেও]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে গামাং এবং তাঁর ছেলে যোগ দিতে পারেন তেলেঙ্গানার শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতিতে। গত ১৩ জানুয়ারি বিআরএস নেতা তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে দেখাও করেন গামাং। সেদিন থেকেই জল্পনা ছিল গামাংয়ের বিআরএস যোগের। যদি শেষপর্যন্ত তিনি বিআরএসে যোগ দেন সেটা কেসিআরের জন্যও বড় প্রাপ্তি হবে। কারণ তেলেঙ্গানার বাইরে সেভাবে তাঁর দল এখনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।