শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা। গ্রেপ্তার জলপাইগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারিং সেলের প্রাক্তন চিফ কোঅর্ডিনেটর প্রীতম ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকারও বেশি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি থেকে প্রীতমকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। আজ তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে হেপাজতে চাইছে পুলিশ। অভিযোগ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রীতম ঘোষ টাকা তুলেছেন। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার-সহ বিভিন্ন জেলার যুবকদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়। দফায় দফায় লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ সামনে এসেছে। শহর লাগোয়া ৭৩ মোড়ের বাসিন্দা প্রীতম প্রশাসনের আধিকারিকদের সইও জাল করেছেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে প্রীতম তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারিং সেলের চিফ কোঅর্ডিনেটর পদে দায়িত্ব পান। দলের একাধিক নেতাদের সঙ্গে তিনি ছবি তুলতেন বিভিন্ন সময়ে। নিজেকে প্রভাবশালী বলেও অন্যদের কাছে প্রচার করতেন তিনি। সেই বছর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ আসতে থাকে। টাকার বিনিময়ে সরকারি অফিসে চাকরি হবে। সেই কথা বলে বিভিন্ন লোকদের থেকে এক লক্ষ, দেড় লক্ষ করে টাকা তুলেছিলেন তিনি।
একের পর এক অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। এই বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় এই ইস্যু সামনে আসে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি লোকসভা নির্বাচনের পরেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল চাকরি না পাওয়া যুবকরা তাঁকে শহরের রাস্তায় ধরে ফেলেন। টাকা না পেয়ে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হয়। পরে তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় সাময়িক অস্বস্তিতে রয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদের দাবি, ধৃত ব্যক্তি এজেন্ট মাত্র। এর পিছনে বড় মাথার হাত রয়েছে।