ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলায় ন্যায় যাত্রা শুরুর আগেই ঘর ভাঙল কংগ্রেসের। হাত শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সাদাব খান। শনিবার রাতে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ যুবনেতা। যার জেরে দলের অন্দরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
২০১৮ সালে যুব কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন সোমেন মিত্রর ছেলে রোহন মিত্র। তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর সমর্থনে দলের সিংহভাগই রোহনকে যুব সভাপতি হিসেবে মেনে নেয়। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরেননি সাদাব খান। প্রদেশ সভাপতির ছেলে যুব সভাপতি কেন হবে— প্রশ্ন তুলে ভিতরে-ভিতরে বিরোধিতা শুরু করেন অধীর চৌধুরী। জানা যায়, অধীরের সমর্থনে তাঁর ঘনিষ্ঠ সাদাব রোহনের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। অভিযোগ ওঠে টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনে নেওয়া হয়েছিল সেবার। কোনও কসুর ছাড়েননি অধীর। শেষে জিতে যায় সাদাবই। রোহন হন সহ সভাপতি। একুশের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে সংযুক্ত মোর্চার টিকিটে প্রার্থীও হয়েছিলেন অধীর ‘ঘনিষ্ঠ’ সাদাব। শোনা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দহরম মহরম ছিল তাঁর। এবার সেই সাদাবই যোগ দিলেন রাজ্যের শাসকদলে।
[আরও পড়ুন: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা নীতীশ কুমারের]
রবিবারই রাজ্যে শুরু হচ্ছে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। এদিকে জোট নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত। বার বার তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, দুই দলের সমঝোতার পথের ‘কাঁটা’ অধীর চৌধুরী। তাঁর জন্যই কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হচ্ছে না বলে কানাঘুষো চলছে কংগ্রেসের অন্দরেও। ক্ষোভ বাড়ছে প্রদেশ সভাপতির বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে অধীর ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রাক্তন যুব নেতার এই দলবদল কংগ্রেসের অন্দরেও তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।