প্রিয়ক মিত্র: আদ্যোপান্ত বাংলার মেয়ে তিনি, কিন্তু মুম্বইয়ের টিনসেল টাউনে এখন তাঁর জনপ্রিয়তা রীতিমতো তুঙ্গে। তিনি বর্ষা চট্টোপাধ্যায় (Barsha Chatterjee)। সাক্ষী তনোয়াররাম কাপুর অভিনীত হিন্দি ধারাবাহিক ‘বড়ে আচ্ছে লাগতে হ্যায়’-এর সিজন ৩-এ দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
মাঝে বেশ কিছুটা সময় বর্ষাকে দেখা যায়নি পর্দায়। তাহলে কি কামব্যাক হল? এমনটা মনে করছেন না অভিনেত্রী। তাঁর বক্তব্য, “এটাকে আমি কামব্যাক বলব না। আমি স্বেচ্ছায় মাঝে কোনও কাজ নিইনি। একটু ব্রেকই নিয়েছিলাম। তারপর এই ধারাবাহিকের প্রস্তাবটা এল। তিন মাসের ধারাবাহিক এটি। ষাট এপিসোডের। ‘বড়ে আচ্ছে লাগতে হ্যায়’ আমি আমার ছোটবেলাতেও দেখেছি। এমন একটা ধারাবাহিকে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্র পেলাম, হ্যাঁ বলার আগে দু’বার ভাবিনি।”
চরিত্রটা কেমন লাগছে? বর্ষার কথায়, “চরিত্রের নাম মিতালি। নেগেটিভ চরিত্র। কিন্তু নায়ক রামের বিরুদ্ধে সে নয়। শুধু সে কিছুটা লোভী।” কেমন লাগছে এই ইউনিটে কাজ করে? “সকলেই অসম্ভব কো-অপারেটিভ। মনেই হচ্ছে না, প্রথম কাজ করছি এইখানে। ফাটিয়ে মজা লাগছে। রাম বা সাক্ষীও খুব ভাল সহ-অভিনেতা। পরিচালকও ভীষণ ভাল,” বলছেন বর্ষা।
[আরও পড়ুন: মাথায় পাগড়ি, একমুখ দাড়ি, কাঁধে বন্দুক নিয়ে হল কাঁপাতে এবার পুজোয় ‘বাঘাযতীন’ দেব ]
‘ব্যারিস্টার বাবু’-র চরিত্রটা তো তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। এখন মিস করেন চরিত্রটা? বর্ষা জানাচ্ছেন, “এখনও ইনস্টাগ্রামে ডিএম-এ এই চরিত্রটার কথা অনেকেই বলেন। Zee টিভিতে করেছিলাম ‘আপকি আ যানে সে’– সেখানে আমার চরিত্রের নাম ছিল মায়া। এখনও ওটা নিয়ে অনেকেই আমাকে ভাললাগার কথা বলেন।” ওয়েব সিরিজে কাজ করার ইচ্ছে আছে? “আমি আর আমার এক বন্ধু মিলে একটি প্রোডাকশন হাউস খুলছি, যেখানে ফোকাসটাই থাকবে বিজ্ঞাপন এবং ওয়েবের উপর। দেখা যাক, জীবন কোনদিকে নিয়ে যায়,” নির্ভেজাল হেসে উত্তর দিলেন বর্ষা।
বাংলায় একসময় নানা কাজ করেছেন, এর মধ্যে কি বাংলা ভাষার অন্য কোনও কাজে দেখা যাবে? বর্ষার উত্তর, “একসময় ‘রোজগেরে গিন্নি’, ‘সম্পূর্ণা’-র মতো শো হোস্ট করেছি। সানন্দা টিভি-তে ‘মিসেস সিংহরায়’ বলে একটি সিরিয়াল করেছি, ‘শুধু তোমারই জন্য’-তে অভিনয় করেছি। আবিরদা, রুদ্রনীলদার সঙ্গে কাজ করেছি। তারপরেই ‘কাহানি ঘর ঘর কি’ পেয়ে গেলাম, মুম্বই চলে এলাম। সত্যে বলতে, কলকাতায় তেমন সুযোগও আমি পাইনি। পেলে নিশ্চয়ই করব।”