আবির-পরমব্রতর সঙ্গে এক ছবিতে পর্দা ভাগ করে নেওয়ার প্রসঙ্গে বললেন লহমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথা শুনলেন শম্পালী মৌলিক।
‘বিয়ে বিভ্রাট’ মজার ছবি, প্রেমের ছবি। ১৪ জুলাই আসছে। ট্রেলারের ফিডব্যাক কেমন?
ট্রেলারের ফিডব্যাক তো খুবই ভাল। পরিবারের লোকজন বা বন্ধুবান্ধবদের সকলেরই খুব ভাল লেগেছে। এটা কিছুটা প্রত্যাশিত, কারণ তারা নিজের লোক, অতটা ক্রিটিক্যালি দেখবে না। তবে সব মিলিয়ে খুব পজিটিভ ফিডব্যাক। সোশ্যাল মিডিয়াতে বা ইউটিউবেও বেশ ভাল প্রতিক্রিয়া।
দ্বিতীয় ছবিতেই দুই নায়ককে সামলানো তো চাট্টিখানি কথা নয়!
(হাসি) এই দুই নায়ক একদমই কমপ্লিকেটেড নয়। ভীষণ ভাল আবিরদা, পরমদা। টাচ উড, আজ অবধি আমার অভিজ্ঞতায় এরকম কোনওদিন হয়নি যে, সামলাতে পারিনি! যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তারা আমার থেকে অনেকটা সিনিয়র। আমার সবে সেকেন্ড ফিল্ম, সব ক্ষেত্রেই আমি জুনিয়র। ওরা যেভাবে আমাকে সাপোর্ট করেছে বলার নয়। সবাই জানে, ওরা দু’জনেই কতটা ফ্রেন্ডলি মানুষ। সেটা আমার পক্ষে সহজ হয়েছে।
আবির চট্টোপাধ্যায় আর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, দু’জনের মধ্যে কাকে বেশি নম্বর দেবেন, দশ-এর মধ্যে?
না, এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। দু’জনেই দশে দশ আমার কাছে। দু’জনেই দশেরও বেশি কোনও কিছু থাকলে সেটাই পাবে। আমি জানতে চাই, আমাকে দু’জনে কত নম্বর দেবে (হাসি)।
[আরও পড়ুন: ‘ব্যঙ্গ, রঙ্গ সম্মেলন কোথায় হয় বদ্দা?’, বঙ্গ সম্মেলন নিয়ে চলতি দক্ষযজ্ঞের মাঝেই ‘ঘি’ ঋত্বিকের]
গানের টিচার না ইউটিউবার কাকে বেশি পছন্দ ব্যক্তিজীবনে?
(হাসি) আমার দু’টোই পছন্দ। ছবিতে আবিরদা ইউটিউবার হলেও আধুনিক গান করে। পরমদা একটু ক্লাসিকাল মিউজিকের দিকে। আমার দু’টোই পছন্দ।
প্রথম ছবি ‘রাবণ’-এর তুলনায় কি বেশি আশাবাদী ‘বিয়ে বিভ্রাট’ নিয়ে?
‘রাবণ’ আমার প্রথম ছবি ছিল। সেই ছবি আমার জীবনে যে জায়গা নিয়েছে ওটা থেকে যাবে, খুব স্পেশ্যাল। প্রথম যা কিছু, জীবনে বিশেষ হয়ে থাকে। ‘বিয়ে বিভ্রাট’ আমার দ্বিতীয় ছবি হলেও গল্পটা আমার ভীষণ প্রিয়। আমি যদি এই ছবিতে নাও থাকতাম, তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবেও বলতে পারি, ভাল লাগবে ছবিটা। লাইট হার্টেড ছবি এই সময় লোকজন পছন্দ করছে। রাজা চন্দর পরিচালনা। এই ধরনের ছবি ভাল লাগছে দর্শকের।
‘স্ট্রেটকাট বলো না যে, তুমি আমায় ঝাড়ি মারছ’– এমন সংলাপ জনপ্রিয় হয়েছে আপনার মুখে। বাস্তবে লহমা এমন বলতে পারবেন?
না (হাসি)। এটাই আমার চরিত্র মোহরের থেকে শিখতে চাই আমি। মোহরের সঙ্গে আমার কিছু মিল আছে কিন্তু বাস্তবে আমি লাজুক প্রকৃতির, চুপচাপ থাকি। মোহর ভীষণ স্বতঃস্ফূর্ত। মোহরের থেকে ওইরকম স্পষ্ট কথা বলা শিখতে হবে, তাহলে জীবনে অনেক সুযোগ আসবে।