রোহন চৌধুরি,প্যারিস: ইতিহাসের পর ইতিহাস। প্রথম মহিলা শুটার হিসাবে অলিম্পিকে পদক জয়ের পর স্বাধীন ভারতের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসাবে এক অলিম্পিকে জোড়া পদক জয়- তিন দিনের মধ্যে নিজের পরিচয়টা বদলে ফেলেছেন মনু ভাকের (Manu Bhaker)। আর এই বদলের পর কী ভাবছেন তিনি? আর ভবিষ্যতের দিশাই বা কী হতে চলেছে তাঁর? ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিক্সড টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জয়ের পর ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে সব প্রশ্নেরই জবাব দিলেন স্বয়ং মনু ভাকের।
প্রশ্ন: কেমন লাগছে নিজের এই সাফল্য?
মনু: প্রথমেই বলব, এই দু’টো পদক সারা জীবন আমার প্রিয় সামগ্রীর তালিকায় থাকবে। সারা জীবন এই জয় আমি উদযাপন করব। তবে আমার এখনও একটা ইভেন্ট বাকি আছে। আপাতত সেদিকেই ফোকাস করব। দেখা যাক সেখানে কেমন ফল হয়।
[আরও পড়ুন: নবতিপর বাবার স্বপ্নপূরণ, ৫৮ বছরে অলিম্পিকে অভিষেক ঘটিয়ে চমকে দিলেন তানিয়া]
প্রশ্ন: অতীতে আপনি পিভি সিন্ধু, নীরজ চোপড়ার কথা উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় ক্রীড়ায় আপনার অনুপ্রেরণা কে?
মনু: সত্যি বলতে, আমি নীরজ আর সিন্ধুকে খুবই পছন্দ করি। দেখুন, ভারতে কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের অভাব নেই। তবে এই দু’জন আমার সমসাময়িক। তাই নীরজ আর সিন্ধু আমার ফেভারিট। কারণ ওরা সব সময় বড় আসরে পারফর্ম করে এবং দুর্দান্ত সব কীর্তি স্থাপন করে। আসল যে কোনও বড় আসরে ভালো পারফর্ম করার জন্য আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। সঙ্গে পরিশ্রমীও। একটা লম্বা সময় ধরে পরিশ্রম করে যেতে হয়। এরপর আসল সময়ে প্রতিটা মুহূর্তে সেভাবেই পরিশ্রম করতে হয়। তাতেই আপনি নিজের সেরাটা দিতে পারবেন। আর বাকিটা ঈশ্বরের উপরে।
প্রশ্ন: এখন তো আপনিও ভারতে একজন রোল মডেল। অলিম্পিকে (Paris Olympics 2024) দেশের বাকি ক্রীড়াবিদদের কী বার্তা দিতে চাইবেন আপনি?
মনু: আমি অন্যদের বলতে চাই যে, নিজের উপর ভরসা রাখ। এতদিন যেভাবে পরিশ্রম করে এতদূর এসেছ, সেই পরিশ্রমে ভরসা কর। নিজের শক্তি বুঝে লড়াই কর। কারণ তুমি নিজেকে সবার থেকে ভালো চেন। ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে নিজের সেরাটা দাও। আর দেশের জন্য যত বেশি সম্ভব পদক জেত। আর আইকন হওয়ার বিষয়ে বলব, আমি নিজেই একজন তরুণ। ফলে আমি নিজেই অন্যদের দেখানো পথে এগিয়ে যেতে চাই। আইকনের পর্যায়ে যেতে এখনও অনেকটা সময় লাগবে।