কৃশানু মজুমদার: শনিবারই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে হার মেনেছে চেলসি। সেই হারের যন্ত্রণায় বিদ্ধ এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) নতুন গোলকিপিং কোচ লেসলি ক্লিভলি (Leslie Cleevely)।
রবিবারই গোলকিপিং কোচ হিসেবে তাঁর নাম সরকারি ভাবে জানিয়ে দিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। চেলসির প্রাক্তন গোলকিপার কোচের সঙ্গে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল যোগাযোগ করলে তিনি বললেন, “চেলসির হারে খুব হতাশ হয়েছি। তবে চেলসির সমর্থক হলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, এই ম্যান সিটি অত্যন্ত দক্ষ এবং শক্তিশালী। তাছাড়া গতকাল ম্যান সিটি ট্যাকটিকালি সব দিক থেকেই এগিয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: আইপিএলে আজ ধোনির মস্তিষ্কের সঙ্গে লড়াই কেকেআরের তারুণ্যের, দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিত-বিরাট দ্বৈরথ]
এদেশের ফুটবলে পা রাখার আগে ওপার বাংলায় কাজ করেছেন ক্লিভলি। ভদ্র মানুষ হিসেবে পরিচিত সে দেশের ফুটবলে। বাংলাদেশের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রাণা বললেন, “ক্লিভলি ইস্টবেঙ্গলে যাচ্ছেন শুনেছি। এতে লাভ হবে ইস্টবেঙ্গলেরই।” এক বছর জামাল ভুঁইয়াদের সঙ্গে কাজ করেছেন ক্লিভলি।
ইস্টবেঙ্গল তাঁর কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। নতুন দেশ, নতুন ক্লাবে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন অভিজ্ঞ কোচ। লাল-হলুদ সম্পর্কে তথ্য তিনি পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলকিপার কোচ ববি মিমসের কাছ থেকে। ক্লিভলি বলছিলেন, “আমি ববির সঙ্গে একাধিক বার কথা বলেছি ইস্টবেঙ্গল নিয়ে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাকে তথ্য দিয়েছে ববি। সব দিক ভাবনাচিন্তা করে আমার মনে হয়েছে, ইস্টবেঙ্গলে কাজ করার এটাই সঠিক সময়।”
এখানে পৌঁছনোর আগেই চির আবেগের ডার্বি নিয়ে অনেক কথা শুনেছেন ফুলহ্যাম, ক্রিস্টাল প্যালেসে কাজ করা ক্লিভলি।আইএসএলের (ISL) সেই মহাম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার কাজে লাগবে। ডার্বির কথা আমি শুনেছি। এর পিছনে রয়েছে আবেগ। রয়েছে গরিমা। কিন্তু টুর্নামেন্টে আমাদের উদ্দেশ্য হবে যত বেশি সম্ভব পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে উঁচুতে শেষ করা।” ভ্যান ডার সার, পেটার চেক, কুদিচিনির মতো তারকা গোলকিপারদের সঙ্গে কাজ করেছেন ৫৬ বছর বয়সী কোচ। চেক সম্পর্কে ক্লিভলি বলছেন, “চেকের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করছি। পেটার চেক মাটির মানুষ। ইগো বলে কিছু নেই। সবার সঙ্গে কথা বলে। ফ্যানটাস্টিক টেকনিশিয়ান চেক।”
চলতি সপ্তাহেই হয়তো এদেশে পৌঁছচ্ছেন ক্লিভলি।দলের হেডস্যর মানোলো দিয়াজও এই সপ্তাহেই পৌঁছবেন। আইএসএলের সূচি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাতে সময় খুব কম। ক্লিভলি বলছেন, “কোচিং স্টাফ হিসেবে দলটাকে যতটা সম্ভব তৈরি করে দেওয়াই হবে আমাদের লক্ষ্য। আশা রাখি, ম্যাচের আগে প্লেয়াররা দারুণ ফিট হয়ে উঠবে, দলটাও জেল করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠে নিজেদের প্রয়োগ করবে ছেলেরা, যাতে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায়।” লাল-হলুদের নয়া গোলকিপার কোচের কথায় আত্মবিশ্বাসের সুর। কাজ শুরুর আগেই যেন ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি।