shono
Advertisement

EXCLUSIVE: উপত্যকায় শান্তি প্রক্রিয়ার মাঝেই ‘বদলা’র হুমকি দিল পাক সন্ত্রাসবাদীদের যৌথমঞ্চ TRF

সন্ত্রাসবাদীদের 'শহিদ' আখ্যা দিয়ে বিবৃতি জারি TRF প্রধান হামজার।
Posted: 03:17 PM Jun 30, 2021Updated: 04:01 PM Jul 01, 2021

সোমনাথ রায়: জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) সন্ত্রাসমুক্ত করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। একের পর এক খতম করা হচ্ছে জেহাদি কমান্ডারদের। সদ্য শ্রীনগরে নিকেশ করা হয়েছে লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গি নাদিম আবরারকে। ফলে উপত্যকায় কার্যত কোণঠাসা জঙ্গিরা। এহেন পরিস্থিতিতে ‘বদলা নেওয়ার’ হুমকি দিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চ ‘The Resistance Front’ (TRF)। 

Advertisement

 

টিআরএফ-এর প্রধান হামজার নামে একটি বিবৃতি জারি হয়েছে। তাতেই হুঁশিয়ারির সুরে বলা হয়েছে, ”শ্রীনগর এনকাউন্টারের বদলা নেওয়া হবে। কাশ্মীর থেকে ভারতীয় হানাদার বাহিনীকে হঠিয়ে দেওয়া হবে।” এছাড়া, সন্ত্রাসবাদীদের ‘শহিদ’ অ্যাখ্যা দিয়ে কাশ্মীর উপত্যকাকে ফের রক্তাক্ত করে তোলার হুমকি দিয়েছি সংগঠনটি। সবমিলিয়ে, নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে ফের সেনাবাহিনী, পুলিশ তথা সরকারি দপ্তরগুলিতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। এমনই আশঙ্কা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একাংশ।

[আরও পড়ুন: ‘মরে যান’, স্কুলের ফি নিয়ে অভিযোগ করতেই মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রীর]

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, লাদাখে চিন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এর জন্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বিভিন্ন জায়গায় আল বদর (Al-Badr) জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। আর এই কাজে তাদের পুরোপুরি মদত দিচ্ছে চিন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরে গিয়ে চিনের কয়েকজন আধিকারিক আল বদর জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাও করেছে। এমনকী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সমস্ত খরচও দিচ্ছে। আর আল বদরের পাশাপাশি পাকিস্তানের মদতপুষ্ট অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলিকেও এই কাজে লাগানো হচ্ছে। সমস্ত জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে সমন্বয়ের জন্য আইএসআই টিআরএফ-কে (TRF) দায়িত্ব দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: করোনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]

কাশ্মীরে আইএসআই-র (ISI) ছায়াযুদ্ধকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘বিদ্রোহ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই মূলত টিআরএফ-কে তৈরি করে পাকিস্তান। কারণ, কাশ্মীর উপত্যকায় লস্করের ও হিজবুলের মতো পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির উপর নজর রয়েছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থ জোগানের উপর নজরদারি চালানো সংগঠন ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এর (FATF)। ওই আন্তর্জাতিক সংগঠনের ধূসর তালিকায় নাম রয়েছে পাকিস্তানের। তাই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের পিঠ বাঁচাতে বকলমে টিআরএফ-কে দিয়ে কার্যসিদ্ধি করতে চাইছে রাওয়ালপিণ্ডি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement