সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির (Economically Backward Class) সংরক্ষণ আইনসম্মত হতেই সামনে নয়া প্রশ্ন। বার্ষিক ৮ লক্ষের কম রোজগারকারীরা যদি সংরক্ষণের আওতায় পড়েন, তাহলে তাঁদের আয়কর দিতে হবে কেন? এই প্রশ্ন তুলেই মাদ্রাজ হাই কোর্টে (Madras High Court) দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করল মাদ্রাজ হাই কোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) গত ৭ নভেম্বর আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের সংরক্ষণে সিলমোহর দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় সর্বসম্মত ছিল না। বিভাজিত তথা ‘স্প্লিট’ রায়ে সংখ্যালঘু বিচারপতিদের দলে ছিলেন খোদ তৎকালীন প্রধান বিচারপতিই। ২০১৯ সালের সংসদে দেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে সংবিধানের যে ১০৩তম সংশোধনীটি পাস করেছিল, তা সংবিধানের মূল কাঠামো তথা ‘বেসিক স্ট্রাকচার ডকট্রিন’-কে বিঘ্নিত করছে কি না, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ সেই প্রশ্নেই দ্বিধাবিভক্ত হয়। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে শেষ পর্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণিকেও সংরক্ষণের (EWS Reservation) আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়।
[আরও পড়ুন: ‘রাগের মাথায় খুন করেছি শ্রদ্ধাকে’, দিল্লির আদালতে কবুল আফতাবের]
এই আইনে বলা আছে এবার থেকে যাদের বার্ষিক রোজগার বার্ষিক ৮ লক্ষ টাকার কম তারা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবে। এদিকে আয়কর (Income Tax) নিয়ম অনুযায়ী, কারও বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার বেশি হলেই তাদের করকাঠামোর আওতায় আনা হয়। যদিও আড়াই লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দেয় আয়কর বিভাগ। তবু খাতায়কলমে আড়াই লক্ষের বেশি রোজগার হলেই করকাঠামোর আওতায় ধরা হয়। এখানেই আপত্তি মামলাকারী কুন্নুর সুনিবাসনের। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র নিজেই যখন বলছে ৮ লক্ষের কম রোজগার করা ব্যক্তিরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে, তখন আয়করের ঊর্ধ্বসীমাও ৮ লক্ষের বেশিই হওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: ‘দোস্তি সে জাদা কুছভি নেহি’, হিন্দি সংলাপে ভারতকে বার্তা রুশ রাষ্ট্রদূতের]
মামলাকারীর সেই আরজি গ্রহণ করেছে মাদ্রাজ হাই কোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক এবং এবং জনস্বার্থ বিভাগের কাজে হলফনামা তলব করেছে হাই কোর্ট।