সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডায় ভয় দেখানো হচ্ছে ভারতীয় কূটনীতিকদের। আমেরিকা, ব্রিটেনেও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এর পিছনে যারা মূল ‘কালপ্রিট’ তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ। এইভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। যেকোনও দেশেই ভারতীয় কূটনীতিকদের ভয় দেখানো বা তাঁদের উপর হামলার ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। একথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জয়শংকর। সেখানেই উঠে আসে বিভিন্ন সময়ে বিদেশের মাটিতে ভারতীয় কূটনীতিকদের হেনস্থার বিষয়টি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, গত বছর লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনে হামলা করা হয়েছিল। আক্রমণ করা হয়েছিল সানফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসেও। নয়াদিল্লি চায় এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে কড়া ভাষায় তিনি বলেন, “আমরা চাই সেই সমস্ত কালপ্রিটরা উপযুক্ত শাস্তি পায়, যারা সানফ্রান্সিসকোয় আমাদের কূটনীতিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল। আইনের আওতায় আনা হোক তাদের। হাই কমিশনে হামলা নিয়ে পদক্ষেপ করা হোক লন্ডনেও। কানাডায় যারা কূটনীতিকদের ক্রমাগত ভয় দেখাচ্ছে, উপযুক্ত শাস্তি হোক তাদেরও।”
[আরও পড়ুন: বিহারে তেজস্বীর কনভয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত এক, আহত ৬ পুলিশকর্মী-সহ ১০]
বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “কোনও দেশ যদি আমাদের দূতাবাসের উপর হামলার বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ না করে তাহলে তা সেই দেশের জন্য মোটেই ভালো হবে না। আমরা কিন্তু তাদের একটা বার্তা পাঠাবো। আর মনে করি, কোনও দেশের জন্যই সেই বার্তা খুব একটা সম্মানজনক হবে না।” এদিন আরও একবার বর্তমান ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গটিও উঠে আসে। যা নিয়ে জয়শংকর বলেন, “গত বছর কানাডায় ক্রমাগত ভারতীয় কূটনীতিকদের ভয় দেখানো হচ্ছিল। নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এই কারণেই আমরা কানাডার ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছিলাম। সেসময় আমরা কানাডার প্রশাসনের থেকে খুব একটা আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া পাইনি। তবে এখন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এখন এই ভিসার কার্যক্রম অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে অভিযোগ তুলেছিলেন দিল্লির দিকে। তার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশ থেকেই অপর দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়। এর পর ভারত থেকে ৪০ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নেয় কানাডা। ট্রুডোকে সরকারকে পালটা দিয়ে ভারত বারবার অভিযোগ করে এসেছে কানাডা সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি হয়ে উঠেছে। কানাডার প্রশয়েই খলিস্তানিরা নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করছে। ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।