সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবাই জানে। সবাই মানে। কিন্তু প্রকাশ্যে বলতে বড্ড লুকোছাপা। আহা! ওতো চার দেওয়ালের অন্দরের কাহিনি। প্রকাশ্যে বলার কী দরকার? যৌনতার বিষয় আসলেই এই কথাগুলি শোনা যায়। ভারচুয়াল বিপ্লবের যুগেও যৌনতা নিয়ে বড্ড লুকোছাপা আছে ভারতীয়দের। ড্রয়িং রুমের টিভিতে আচমকা চুম্বন দৃশ্য দেখলেই শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি। শরীরে প্রয়োজনও তো প্রয়োজন। তা নিয়ে এত লুকোছাপার কী আছে? প্রশ্নের উত্তর দিলেন বিশিষ্ট যৌনতা বিশেষজ্ঞ পল্লবী বার্নওয়াল (Pallavi Barnwal)।
দীর্ঘ দিন ধরেই দম্পতি, প্রেমিক-প্রেমিকাদের যৌন সমস্যার সমাধান করছেন পল্লবী। তাঁর মতে, সমস্যা যতটা না শরীরের তার চেয়েও বেশি মনের। বিশেষ করে ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থা। যে দেশে খাজুরাহো মন্দির রয়েছে, বাৎসায়নের কামসূএ রয়েছে সে দেশেই যৌনতা নিয়ে কুন্ঠার শেষ নেই। লোকে কী বলবে? এই প্রশ্নই বড় হয়ে ওঠে। এর জন্য অনেকেই যৌন বিশেষজ্ঞর কাছে যেতে চান না। তাঁর মতে, এদেশের অর্ধেকেরই বেশি প্রাপ্তবয়স্কর জীবনে যৌন অপূর্ণতা রয়েছে। যা মানসিক অশান্তির কারণও বটে। কিন্তু জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা বিশেষজ্ঞদের কাছে যেতে চায় না। অথচ এই সমস্যার সমাধান ভীষণভাবে প্রয়োজন। বিশেষ করে এই অতিমারীর (Corona Pandemic) পরিস্থিতিতে।
[আরও পড়ুন: ওজন বাড়ছে? সাবধান না হলে হারাতে পারেন সুস্থ যৌন জীবনের আনন্দ ]
এখন খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে বের না হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বাড়ি থেকে কাজ করার অভ্যাস গড়ে ফেলেছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতি বাড়ির মানুষটির সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় থাকতে হয়। কিন্তু মনের কথা বা শরীরের চাহিদা মেটাবার সুযোগ কম। কারণ, একই বাড়িতে অনেকের বাস। সেটা একদিক থেকে যেমন ভাল, অন্যদিক থেকে ভাবতে গেলে বেশ অসুবিধার বলে মনে করেন পল্লবী। এমন পরিস্থিতিতে শরীরী সুখের শিৎকার যদি পাশের ঘরে পৌঁছে যায়, তাহলে কী হবে? এই প্রশ্নই সারাক্ষণ মাথায় ঘুরতে থাকে। তাতে রতিক্রিয়া মন দেওয়া যায় না। অতএব সুখের ঘাটতি, আর সম্পর্কে অশান্তি।
তাহলে উপায় কি কিছু আছে? অবশ্যই, কুণ্ঠা মেটাতে হবে। সরাসরি না পারলে পরোক্ষভাবে গুরুজনের বা সংসারে প্রিয়জনের মধ্যে আদরের মুহূর্ত খুঁজে নিতে হবে। আর যদি মনে আপনার আর আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী শরীরের চাহিদা এক নয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে হবে। এমন অনেক উপায় আছে যা খুব সহজেই তাঁরা সমাধান করে দিতে পারেন।