স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: পেগাসাস (Pegasus) কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ও সংসদে আরও অস্বস্তিতে কেন্দ্র। তাদের হাতে আসা একাধিক মোবাইলে মিলেছে পেগাসাসের অস্তিত্ব। শীর্ষ আদালতের কমিটির কাছে এমনটাই জানালেন দুই সাইবার বিশেষজ্ঞ। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনতে চেয়ে প্রস্তাব পেশ হল সংসদে।
পেগাসাস কাণ্ডের তদন্ত করতে যাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন এই দু’জন সাইবার বিশেষজ্ঞকে নিযুক্ত করেন। তাঁদের একজন জানিয়েছেন, তিনি সাতজন ‘আক্রান্ত’র আইফোন বিশ্লেষণ করেছেন। যার মধ্যে দু’জনের মোবাইলে পেয়েছেন পেগাসাসের অস্তিত্ব। একজনের মোবাইলে ২০১৮-র এপ্রিলে হানা দেয় এই স্পাইওয়্যার।
[আরও পড়ুন: ইলেকট্রিক শক দিয়েছে চিনা সেনা! অকথ্য অত্যাচারের কথা জানাল অরুণাচলের ‘অপহৃত’ কিশোর]
আরেকজনের মোবাইলে জুন-জুলাইয়ে একাধিকবার আড়ি পাতা হয়। দ্বিতীয় বিশেষজ্ঞ খতিয়ে দেখেছিলেন ছ’টি মোবাইল। সব ক’টিই পড়েছে অবৈধ নজরদারির ফাঁদে। চারটিতে মিলেছে পেগাসাস ম্যালওয়্যারের স্বতন্ত্র সংস্করণ। দু’টিতে পাওয়া গিয়েছে অন্য ভার্সন। দুই বিশেষজ্ঞের দাবি, ‘‘ডিভাইসগুলি থেকে ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য ডেটা মুছে ফেলা হয়। কোনও বৈধ উদ্দেশ্যে পেগাসাস ব্যবহার করা যেতে পারে না।’’
একদিকে যখন সুপ্রিম কোর্টে প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য, তখন বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনেই সংসদে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনার প্রস্তাব পেশ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং সিপিআই-এর রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় বিশ্বম। সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যে কথা বলা ও ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদকে বিভ্রান্ত করার দায়ে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস জারি করার প্রস্তাব আনা হয়। ওম বিড়লার ডাকা সর্বদল বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটা অধিবেশন সম্পূর্ণ বানচাল হয়ে গিয়েছে। আবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত অধিবেশন চালাতে পেগাসাস প্রসঙ্গে বিবৃতি দেওয়া।’’