সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর পর বিস্ফোরণে কাঁপল রাশিয়া। বুধবার সকালে সেদেশের টোরোপেটস শহরে ইউক্রেনের একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ড্রোন থেকেই আগুন ছড়ানোর পর সেখানে অবস্থিত রুশ সেনাঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গিয়েছে সোশাল মিডিয়ার পোস্ট সূত্রে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, রাশিয়ার ভের অঞ্চলে হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। পালটা জবাব দেয় রুশ সেনাও। সেই সময়ই ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ড্রোন থেকে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ার পর তা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে রুশ সেনা ঘাঁটিতে। এত জোরে বিস্ফোরণ ঘটে যে বহু দূর থেকেও তা শোনা গিয়েছে। টোরোপেটের পশ্চিমাঞ্চল থেকেও তা শুনতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
গত ২ বছর ধরে বিরামহীন যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার ইউক্রেনের আকাশে দেখা মেলে রুশ রণতরীর। সেই শুরু। হামলা ও পালটা হামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে দুই দেশে। চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার হামলা রুখতে রাশিয়ার মাটিতেই জোরাল হামলার নীতি নিয়েছে ইউক্রেন। চলছে রাশিয়ার দখলে যাওয়া একাধিক অঞ্চল ফের নিজেদের দখলে আনার। এমাসের শুরুতে রাশিয়ার মস্কো-সহ একাধিক শহর লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। যদিও রাশিয়ার নিরাপত্তাবাহিনীর দাবি, সেই হামলা প্রতিহত করেছে তারা। ইউক্রেনের ১৫৮টি ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই হামলার জেরে মস্কোর একটি তেল শোধনাগারে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছিল। মস্কো থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ভার অঞ্চলের কোনাকোভো বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গিয়েছিল।
এদিকে এতদিন যুদ্ধে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ছিল না ইউক্রেনের। রাশিয়ার লাগাতার হামলার পর এবার সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে ন্যাটো। ফলে বদলে যেতে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ঝাঁজ। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর রাশিয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে ইউক্রেনের দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল স্ট্রোম স্যাডো।