সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামপুরহাট কাণ্ডের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা বাদে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই ‘জঘন্য ঘটনা’য় দুঃখপ্রকাশ করেও আপাতত রাজ্য সরকারর উপরই আস্থা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আশা, রাজ্য সরকার দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে। সেই কাজে কেন্দ্রও রাজ্যকে সবরকম সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মোদি।
এদিন শহিদ দিবস উপলক্ষে দিল্লি থেকে ভারচুয়ালি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি গ্যালারির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানের সূচনালগ্নে মোদি বলেন, “বীরভূমে হওয়া হিংসার ঘটনায় আমি দুঃখপ্রকাশ করতে চাই, সমবেদনা জানাতে চাই। আশা করব, রাজ্য সরকার বাংলার পবিত্র ভূমিতে এই জঘন্য ঘটনায় জড়িত দোষীদের শাস্তি দেবে। আমি বাংলার মানুষকেও অনুরোধ করব, যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কখনও ক্ষমা করবেন না।” এরপরই প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, ”অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার যা যা সাহায্য চাইবে, কেন্দ্রের তরফে তা করা হবে।’
[আরও পড়ুন: ‘মুসলিম হত্যা নিয়েও ছবি করুন’, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে খোঁচা দেওয়ায় শোকজের মুখে IAS অফিসার]
বস্তুত, রামপুরহাট কাণ্ডে (Rampurhat Clash) ইতিমধ্যেই সিবিআই (CBI) এবং এনআইএ (NIA) তদন্ত দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury)। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যেই ইঙ্গিত, আপাতত রাজ্যের তদন্তেই ভরসা রাখছেন তিনি। রাজ্য সরকার সাহায্য চাইলে কেন্দ্র সাহায্য করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মোদি।
[আরও পড়ুন: রামপুরহাট কাণ্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে SIT-এর রিপোর্ট তলব, একগুচ্ছ নির্দেশিকা কলকাতা হাই কোর্টের]
যদিও বীরভুম কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর এভাবে ‘নাক গলানো’ নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল (TMC)। শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি নিজে রাজধর্ম পালন করেননি। সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী তাঁকে রাজধর্ম পালন করার কথা মনে করিয়েছিলেন। যারা নিজেরাই রাজধর্ম পালন করেন না, তৃণমূল সরকারকে তাদের কোনওরকম জ্ঞান না দিলেও চলবে।”