shono
Advertisement

Breaking News

পড়াশোনার ক্ষতি নয়, গরমের ছুটির পরই স্কুলে বাড়তি ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ শিক্ষা দপ্তরের

২ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলিতে।
Posted: 10:56 AM Apr 14, 2023Updated: 10:56 AM Apr 14, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে আসায় বেশ কিছু ক্লাস নষ্ট হতে পারে। তাই স্কুল খুললে শিক্ষকদের অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর (Education Department)। ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শুরু হচ্ছে গ্রীষ্মাবকাশ। বৃহস্পতিবার সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। 

Advertisement

পূর্ববর্তী সূচি অনুযায়ী, স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৪ মে থেকে। অর্থাৎ, ২২ দিন এগিয়ে এসেছে এবছরের গরমের ছুটি। আবার কবে গরমের ছুটি শেষ হবে তা এখনই জানানো হয়নি। অনির্দিষ্টকালীন গরমের ছুটিতে পঠনপাঠন সংক্রান্ত যে ক্ষতি হবে, তা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে পুষিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের।

[আরও পড়ুন: ‘ব্রিটেনে ভারত বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন’, সুনাককে ফোনে বললেন মোদি]

তীব্র দহনে নাভিশ্বাস উঠছে রাজ্যবাসীর। বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিনদিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার রাজ্যের সিদ্ধান্ত বুধবারই জানা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দপ্তরের তরফে মধ্যশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) সভাপতিকে চিঠি পাঠিয়ে ২ মে থেকে অধীনস্থ স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্কুল কবে খুলবে, তা ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হবে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পাহাড় এলাকায় গরমের ছুটি এখনই শুরু হচ্ছে না। সেখানে বর্তমানের অ্যাকাডেমিক সূচি অনুযায়ীই স্কুল চলবে। 

[আরও পড়ুন: SSC Scam: তাপস-কুন্তলের এজেন্ট রাজ্যের এক বিধায়ক? রহস্য উন্মোচনের চেষ্টায় ইডি]

এদিকে পড়ুয়াদের সঙ্গে এই সময়কালে ছুটি দেওয়া হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়সীমায় বা স্কুল না খোলা পর্যন্ত তাঁরা বিশেষ ভিত্তিতে ছুটিতে থাকবেন। একইসঙ্গে আগে স্কুল বন্ধ হওয়ার কারণে হওয়া পঠনপাঠনের ক্ষতি মেটাতে স্কুল খুললে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে অনিমেষ হালদার বলেন, “স্কুল খোলার পরে যে অতিরিক্ত ক্লাসের কথা বলা হয়েছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এভাবে দীর্ঘ ছুটি ঘোষণা করার ক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তরের উচিত স্বীকৃত শিক্ষক সংগঠন, আবহাওয়া এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া।” শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, “শুধু মে মাস নয়, জুন মাসেও প্রচণ্ড গরম থাকবে। যদি পুরো সময় স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রেখে দেওয়া হয়, তাহলে বিদ্যালয় শিক্ষা তার গুরুত্ব হারাবে। দক্ষিণবঙ্গে গ্রীষ্মের দহনের কারণে যে সব স্কুলে অসুবিধে নেই সেখানে এখনই ‘সকাল স্কুল’ চালু করা হোক।” সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলির মতামত নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কিংকরবাবুও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement