অভিরূপ দাস: চড়া রোদে দৌড়াদোড়ি নয়। বরং দুপুর বারোটা থেকে তিনটে ছায়ার তলায় আশ্রয় নিন। কর্মীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুরসভা। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, যাঁরা বাইরে কাজ করছেন সঙ্গে ওআরএস রাখুন। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে বিপদ ডাকছে অতিরিক্ত ওআরএস, গ্লুকোজ। শরীর সুস্থ হওয়ার বদলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত গল্ুকোজ খেয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে এসেছেন অগুনতি।
নিয়ম অনুযায়ী, বাজারে বিক্রি হওয়া ওআরএস এর প্যাকেটে লেখা থাকে। এক লিটার জলে মেশান। অনেকেই তড়িঘড়ি ২০০ মিলিলিটার, কিম্বা এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেয়ে নিচ্ছেন। তাতেই ঘটছে বিপদ।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির টাকায় ফ্ল্যাট কেনা?’, রচনাকে কটাক্ষ করে রোষানলে বং গাই, কী জবাব দিলেন?]
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিশান্তদেব ঘটক জানিয়েছেন, অল্প জলে ওআরএস মিশিয়ে খেয়ে ফেললে বিপদ। ওআরএস এ আছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সাইট্রেট, ডেক্সট্রোজ। বিভিন্ন শারীরিক কাজকর্মের জন্য ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন। শরীরের সুস্থতায় সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো উপাদানগুলির গুরুত্বও অপরিসীম। ১ লিটারের অল্প জলে এক প্যাকেট ওআরএস মিশিয়ে খেলে শরীরের সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা হতে পারে ঘনঘন গ্লুকোজ খেলে। বাজার চলতি গ্লুকোজে রয়েছে প্রচুর সুগার বা চিনি। তা অতিরিক্ত খেলে রক্ত ঘন হয়ে যাবে। তখন শরীরের অন্যান্য জায়গা থেকে জল টানতে শুরু করছে রক্ত। ডিহাইড্রেশন কমার বদলে বেড়ে যাচ্ছে আরও।
সম্প্রতি বেআইনি বাড়ি ধরতে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইঞ্জিনিয়ারদের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে বলেছিল পুরসভা। সকাল সাড়ে দশটা থেকে ঘুরে বেরতে বলা হয়েছিল এলাকায় এলাকায়। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা জু়ড়ে তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বাধ্য হয়েই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। যেখানে বলা হয়েছে দিনের যে সময় তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি, সে সময় কোনও ছায়ার তলায় আশ্রয় নিন। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. অনির্বাণ দলুই জানিয়েছেন, দুপুর বারোটা থেকে তিনটে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। সে সময় চড়া রোদে না ঘোরাই শ্রেয়।
পুরসভা নির্দেশিকায় আরও জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করুন। চেষ্টা করুন দুপুর বারোটার মধ্যে রাস্তায় ঘোরাঘুরির কাজ শেষ করতে।