সুব্রত বিশ্বাস: বর্তমানে চরমে ট্রেন বিভ্রাট। ট্রেন ‘বাতিল’ থেকে ‘ঘুরপথে’ চলার প্যাঁচে রামপুরহাট শাখার ট্রেন এখন একপ্রকার ব্রাত্য। রামপুরহাট-চাতরা স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে চলছে থার্ডলাইনের কাজ। ফলে ওই লাইনে বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাহত ট্রেন চলাচল। একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ঘুরপথে চালানো হচ্ছে বেশ কিছু ট্রেন। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে বাবা লোকনাথের জন্মদিনের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেলের কাজের জন্য তারাপীঠ মন্দির কার্যত পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। ওই লাইনে একাধিক ট্রেন বাতিল এবং আজিমগঞ্জ দিয়ে ঘুরপথে রেল চালানোয় ভক্তদের পৌঁছতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। সামনেই কৌশিকী অমাবস্যা। আগামী ১৩ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর পুণ্যযোগ। এই অমাবস্যা তারাপীঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই দিন লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগাম হয় তারাপীঠে। কয়েক কোটির ব্যবসা হয়। এসময় হোটেল পাওয়াই কঠিন হয়ে ওঠে।
[আরও পড়ুন: ১২ বছরের কিশোরীর শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা, গরম তাওয়া দিয়ে মারধর! কাঠগড়ায় দম্পতি]
কিন্তু রেলের বর্তমান পরিস্থিতিতে কি ট্রেন চলবে? পরিস্থিতিই বা কেমন থাকবে? এসব প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। ট্রেনের আপডেট জানতে চেয়ে ফোন যাচ্ছে কন্ট্রোল রুমে। রেলের তরফে আশা করা হয়েছে, ওই লাইনে সমস্ত কাজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে যাবে। এমনকী সমস্ত ট্রেন ঠিক ভাবে ওই রুটে চলবে বলেও জানানো হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, তারাপীঠ যাওয়ার সমস্ত ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে পাওয়া যাবে। রামপুরহাট যাওয়ার সব ট্রেনের টিকিটের চাহিদা যথেষ্ট বেশি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
১৩১৮৭ শিয়ালদহ -রামপুরহাট এক্সপ্রেস, ১২৩৪৭ হাওড়া-রামপুরহাট, ১৩১৭৫ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ১৩০১৭ গণদেবতা এক্সপ্রেসের ট্রেনগুলিতে লম্বা ওয়েটিং লিস্ট রয়েছে বলে জানাচ্ছে রেলওয়ে। রামপুরহাট ২-ব্লক সভাপতি সুকুমার সরকার বলেন, কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে ওই দিন ৬-৭ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। স্টেশন চত্বরে ক্যাম্প খোলা হয় সহযোগিতার জন্য। সুরক্ষা থেকে পরিচ্ছন্নতা, পানীয় জলের ব্যবস্থা সবই করা হয় তারাপীঠে। এবার ওই দিনে রেলের তরফে কী ব্যবস্থা থাকবে, তার উপর নির্ভর করছে ভক্ত সমাগমের হার।
এদিকে বাবা লোকনাথের জন্মদিনে বিশেষ ট্রেনও দিল রেল। কচুয়া যেতে এবার ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর এক জোড়া বিশেষ ট্রেন দিল পূর্ব রেল। বারাসত-হাসনাবাদ শাখার কাঁকরা মীর্জানগর হল্টের জন্য এই ট্রেন বারাসত থেকে ছাড়বে দুপুর সওয়া বারোটা নাগাদ। হাসনাবাদ পৌঁছবে দুপুর ১.৩৮ মিনিটে। হাসনাবাদ থেকে দুপুর ২.২৫ মিনিটে ছেড়ে বারাসত আসবে বিকেল পৌঁনে চারটে নাগাদ।