সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদ কাণ্ডের তদন্তে ছয় রাজ্যে যখন অভিযান চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল, তখন অভিযুক্তদের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনের খোঁজ নিতে ‘গুগল পে’ এবং ‘পেটিএম’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলেন তদন্তকারীরা। আর একই সঙ্গে অভিযুক্ত ছয় জনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যাচাই করে বিশদ তথ্য চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেওয়া ‘ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব’-এর পেজও খতিয়ে দেখবে পুলিশ। সে জন্য ফেসবুকের মূল সংস্থা ‘মেটা’কে চিঠি পাঠাল দিল্লি পুলিশ।
তদন্তকারীদের অনুমান, ‘ভগৎ সিংহ ফ্যান ক্লাব’ নামের ওই পেজে অভিযুক্তদের পরিচয় হয়েছিল। সেখানেই সংসদ ভবনে হানার ছক কষা হয়েছিল বলে অনুমান। দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) বিশেষ সেল রাজস্থান, হরিয়ানা, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে কোনও ডিজিটাল লেনদেন হয়েছিল কি না, তা দেখতে ‘গুগল পে’ এবং ‘পেটিএম’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, ওই ফোন নম্বরগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত ই-মেলগুলোও দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইডির হাজিরা এড়ানোর ফন্দি! ১০ দিনের জন্য বিপাসনায় গেলেন কেজরি]
সংবাদ সংস্থার খবর, যেহেতু বর্তমানে মেটা হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করে, সেই কারণে মেটাকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। অভিযুক্তদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পাঠানোর অনুরোধও করেছেন তদন্তকারীরা। দিল্লি পুলিশের অনেকগুলো দল রবিবার অভিযুক্তদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেখান থেকে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছেন আধিকারিকরা। অভিযুক্ত নীলম আজাদ এবং সাগর শর্মার পাসবুকগুলো হরিয়ানার জিন্দ এবং উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সোমবার পুলিশের স্পেশাল সেলের একটি দল মাইসুরুতে অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি-র বাড়িও যায়। মনোরঞ্জনের বাড়িতে প্রায় সাত ঘণ্টা ছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বেশি কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তথা মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝার বিষয়ে তদন্ত করতে কলকাতায় এসেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।