সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) বরাবরই জানিয়ে এসেছে তাদের মেসেজ সব সময় এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেন্ড (End to End Encryption)। অর্থাৎ তা কেবল দু’জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যিনি মেসেজ পাঠাচ্ছেন ও যিনি তা পাচ্ছেন। হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুকও এই মেসেজ পড়ে না। কিন্তু এবার মার্কিন তদন্তমূলক সংবাদমাধ্যম প্রোপাবলিকা বিস্ফোরক অভিযোগ জানাল, এই দাবি আদৌ ঠিক নয়। ফেসবুকের (Facebook) মালিকানাধীন সংস্থার প্রায় ১ হাজার কর্মী নিয়মিত ব্যবহারকারীদের উপরে নজরদারি চালান! যদিও এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে ফেসবুক।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ফিচার চালু করে হোয়াটসঅ্যাপ। জানিয়ে দেওয়া হয়, হোয়াটসঅ্যাপে ইউজারদের তথ্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। কেবল মাত্র প্রেরক ও গ্রাহকের বাইরে কেউ সেই বার্তা পড়েন না। এমনকী, হোয়াটসঅ্যাপও সেই মেসেজ পড়ে না। পরবর্তী সময়ে যখনই হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নিয়ে কথা উঠেছে, বারবারই এই দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে।
[আরও পড়ুন: কারা কারা দেখবেন হোয়াটসঅ্যাপের ‘লাস্ট সিন’? ঠিক করবেন আপনিই, আসছে নয়া আপডেট]
কিন্তু ‘প্রোপাবলিকা’র দাবি, এই দাবি সত্যি নয়। হোয়াটসঅ্যাপের ২০০ কোটি ইউজার প্রতিনিয়ত মেসেজ চালাচালি করে চলেন। অস্টিন, টেক্সাস, ডাবলিন ও সিঙ্গাপুরে ১ হাজারেরও বেশি কর্মী ইউজারদের মেসেজের উপর ভিত্তি করে গবেষণা চালান। মার্কিন সংস্থার আরও দাবি, এজন্য ওই কর্মীরা ব্যবহার করেন ফেসবুকের একটি বিশেষ সফটওয়্যার। যার সাহায্যে যে কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পড়ে ফেলতে পারেন তাঁরা। তাঁদের ছবি ও ভিডিও-ও তাঁদের নাগালে থাকে। এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনের যে দাবি, তা নেহাতই মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ছাড়া কিছু নয়। তবে এও বলা হয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ সমস্ত মেসেজের নাগাল পেতে দেয় না। সাধারণত শেষ পাঁচটি মেসেজেরই অ্যাক্সেস পান ওই কর্মীরা।
স্বাভাবিক ভাবেই এমন দাবি ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফেসবুকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে এমন দাবিকে অস্বীকার করা হয়েছে। ডেটা সংগ্রহের বিষয়টি স্বীকার করেও ফেসবুকের দাবি, তাদের সংগৃহীত ডেটা নেহাতই সীমিত। এবং তা করা হয় ইন্টারনেটের খারাপ ব্যবহার রুখতেই।