সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে ৩ সপ্তাহে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনীয় (Ukraine) নাগরিকদের রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) বিরুদ্ধে ক্ষোভ এতটাই গভীরে পৌঁছেছে যে, অনেকে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত চাইছেন। কেউ কেউ তো খুন করারও হুমকি দিয়েছেন সরাসরি ফেসবুকে (Meta)। কিন্তু এতদিন এই ধরনের পোস্টে উদাসীন থাকতে দেখা গিয়েছে জুকারবার্গের সংস্থাকে। অবশেষে ফেসবুক জানিয়ে দিয়েছে, আর এই ধরনের পোস্টকে অনুমোদন দেওয়া হবে না।
কিন্তু কেন? কেন এতদিন এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না করার পর আচমকাই এই সিদ্ধান্ত? আসলে সম্প্রতি পুতিনের রাশিয়া সেদেশে নিষিদ্ধ করেছে ইনস্টাগ্রাম। ফলে রাশিয়ার ৮ কোটি ইউজার হারিয়েছে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। এই ধাক্কা সামলাতেই মেটার তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাশিয়ায় ফেসবুক ও টুইটার নিষিদ্ধ হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মাঝেই দেশে শুরু ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ]
এতদিন কিন্তু এই ধরনের পোস্ট মুছত না ফেসবুক। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্র অনুযায়ী, রাশিয়ান সৈন্যদের কেউ যদি মেরে ফেলার ইচ্ছাজ্ঞাপন করে, তাহলে ফেসবুক তাদের সেই কথা বা লেখাকে সরিয়ে দিত না। এক্ষেত্রে ফেসবুকের যুক্তি, ইউক্রেনীয়রা এখন গভীর সংকটে। অন্য একটি দেশের দ্বারা তারা আক্রান্ত। এই অবস্থায় তাদের প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নিতে চায় না ফেসবুক। তবে ফেসবুকের তরফে এটাও বলা হয়েছিল যে, কোনও রুশ নাগরিককে যদি মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে সেই ধরনের হেট স্পিচকে তারা মান্যতা দেবে না।
এই খবরটি উদ্ধৃত করে, আমেরিকা স্থিত রুশ দূতাবাসের তরফে টুইট করা হয় যে, ফেসবুক কি এই সামাজিক মাধ্যমের অধিকারীদের কোনটা ঠিক বা কোনটা ভুল তা যাচাই করার, বা দুটো দেশের মধ্যে বিদ্বেষ রচনা করার ক্ষমতা প্রদান করেছে? এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ করতেই এবার সুর নরম করতে কার্যত বাধ্যই হল ফেসবুক।