সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের মতো তাদেরও ‘প্রাইভেসি’-এর দরকার হয় বইকি। কিন্তু, পর্যটকরা তা আর বুঝছেন কই! অগত্যা মানুষের হাত থেকে বাঁচতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাচ্ছে গির অভয়ারণ্যের সিংহরা। বনের রাজার দেখা না পেয়ে হতাশ হতে হচ্ছে পর্যটকদের। এমনটা মত বিশেষজ্ঞদের।
[আফগানিস্তানে গম পাঠাতে এই প্রথম চাবাহার বন্দর ব্যবহার করল ভারত]
গুজরাটের গির অভয়ারণ্য পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বন দপ্তরের পরিংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে গির অভয়ারণ্যে প্রায় ৩১ হাজারেরও বেশি পর্যটক এসেছিলেন। কিন্তু, ৬০ শতাংশ পর্যটকই সিংহের দেখা পাননি। গত ২১ অক্টোবর গির অভয়ারণ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন আমেদাবাদের বাসিন্দা অমিত প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘আমি দু’বার জঙ্গল সাফারিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, একটাও সিংহ চোখে পড়েনি। তবে রাস্তায় প্রচুর বাঁদর দেখেছি।’ ওই পর্যটকের দাবি, শুধু তিনিই নয়, গির অভয়ারণ্যে জঙ্গল সাফারির সময়ে সিংহ দেখতে পাননি অনেকেই।
[‘সমস্যায় পড়লে আমার কাছে আসুন’, দিল্লিবাসীদের চিঠি কেজরিওয়ালের]
কিন্তু, গির অভয়ারণ্য তো সিংহের জন্যই বিখ্যাত। ভারতের একমাত্র এই অভয়ারণ্যে সিংহ দেখতে পাওয়া যায়। তাহলে সেখানে গিয়ে কেন পশুরাজের দেখা পাচ্ছেন না পর্যটকরা? ন্যাশনাল বোর্ড অফ ওয়াইল্ড লাইফের সদস্য এইচ এস সিংয়ের মতে, সিংহের দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। অনেকগুলি বিষয়ের উপর তা নির্ভর করে। তিনি বলেন, গির অভয়ারণ্যে অত্যধিক গাড়ির চলাচলের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সিংহরা। নিরিবিলির খোঁজে সাফারি এলাকা থেকে গভীর জঙ্গলের দিকে চলে যাচ্ছে তারা। তাছাড়া গির অভয়ারণ্য বড় বড় ঘাসে ভর্তি।সহজেই ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে পড়ছে পশুরাজ। তাই পর্যটকরা সিংহের দেখা পাচ্ছেন না।
[দলিত মহিলাকে বিয়ে করুন, রাহুলকে পরামর্শ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, গির অভয়ারণ্যে জিপের দৌরাত্ম্য কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে বন দপ্তর। কোনও জিপ যাতে নির্দিষ্ট রুটের বাইরে না যায়, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে পর্যটকদের সুবিধার জন্য সিংহদের সাফারি এলাকার কাছাকাছি নিয়ে আসা হত। আর জিপগুলি সেদিকেই চলে যেত। কিন্তু, আর তা হয় না। পাশাপাশি, পর্যটনের মরসুমে ১৫০টির বেশি জিপকে অভয়ারণ্যে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
[‘রেস্তরাঁর বাইরে দাঁড়াতে পারলে জাতীয় সংগীত শুনে কেন পারবেন না?’]
The post জানেন, গির অভয়ারণ্যে কেন সিংহ দেখতে পাচ্ছেন না পর্যটকরা? appeared first on Sangbad Pratidin.